বাসস দেশ-১ : এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড একটি হত্যাকাণ্ড, দায়ী যেই হোক কঠোর ব্যবস্থা : গৃহায়ণমন্ত্রী

148

বাসস দেশ-১
বনানী-রেজাউল করিম
এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড একটি হত্যাকাণ্ড, দায়ী যেই হোক কঠোর ব্যবস্থা : গৃহায়ণমন্ত্রী
ঢাকা, ২৯ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বনানীতে বহুতল ভবন এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ড কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং এটি একটি হত্যাকান্ড।
শুক্রবার সকালে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, ভবন মালিকদেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য রাজউক, সিটি কর্পোরেশন, ভবন মালিক যেই দায়ী হোক না কেনো, তার বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফ আর টাওয়ারের ১৮ তলা পর্যন্ত অনুমোদন ছিল জানিয়ে মন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, ভবনটিকে ১৯৯৬ সালে ১৮ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ২০০৭ সালে তারা রাজউকে একটি নথি দাখিল করে ২৩ তলা করার। কিন্তু তাদের সেই নথি অনুমোদনের পক্ষে কোনো দলিল রাজউকে ছিল না। যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল তারা যত শক্তিশালী আর প্রভাবশালী হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তারা যদি রাজউকের লোকও হন, আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো। প্রয়োজন হলে প্রতিষ্ঠানের মালিকের লাইসেন্স বাতিল এবং অতিরিক্ত অংশ ভেঙ্গে ফেলা হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই দুর্ঘটনার উদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করছেন। দুর্ঘটনা তদন্তে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিবে।
রেজাউল করিম জানান, মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পক্ষ থেকে ও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, এই কমিটি আগামী ৩ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
ঢাকা মহানগরীর ৯৬ শতাংশ বহুতল ভবন বিল্ডিং কোড না মেনে অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, এ তথ্য সঠিক নয়, তবে বিল্ডিং কোড না মেনে করা ৬৬ শতাংশ বহুতল ভবনের বিরুদ্ধে শিগগিরই মাঠে নামবে সরকার।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন।
এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্নিদুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে বলেছেন।
এর আগে বনানীতে আগুনে পুড়ে যাওয়া এফ আর টাওয়ারের ভেতরে আহত বা মৃত আরও কেউ আছে কিনা জানতে সকাল থেকে তল্লাশি করে দমকল বাহিনীর কর্মীরা।
এই ভবনের তিনটি লিফট আছে, বন্ধ থাকলে ভেঙে দেখা হবে ভেতরে কেউ আছে কিনা। এরপরই নিহতের সংখ্যা জানা যাবে বলে জানিয়েছে দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা।
দমকল বাহিনীর মিডিয়া সেলের ইনচার্জ শাহজাহান সিকদার জানা যায়, এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ২৪ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একজনের মৃত দেহ ডাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিএনএ টেস্টের জন্য রাখা হয়েছে। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা বলে শাহজাহান সিকদার জানান।
বাসস/সংবাদদাতা/এসই/১৩০০/কেকে