বাসস বাজেট-২০ : সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ খাতে ২৪ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব

228

বাসস বাজেট-২০
সড়ক পরিবহন-বাজেট
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ খাতে ২৪ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব
ঢাকা, ৭ জুন ২০১৮ (বাসস) : আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ খাতে ২৪ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের উত্থাপিত বাজেটে তিনি এই প্রস্তাব করেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ খাতে এবার পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ধারা হয়েছে ২০ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে (২০১৭-১৭) এ খাতে প্রস্তাবিত বরাদ্দ ছিল ২০ হাজার হাজার ৮৮০ কোটি টাকা।
এই হিসাবে চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক খাতের বরাদ্দ ৩ হাজার ১ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ ১ হাজার ১৪০ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ককে যথাযথ মানসম্পন্ন ও প্রশস্ত করার জন্য সরকার ১০টি সড়ক জোনভিত্তিক ১০টি গুচ্ছ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় পর্যায়ক্রমে সারাদেশের ৩ হাজার ৮১৩ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ককে চার বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত করা হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৪৬৫ কিলোমিটার সড়ক চার বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত হয়েছে। আরো ৪৩৬ কিলোমিটার সড়ককে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সরাসরি চলাচলের সুযোগ তৈরির জন্য আমরা ঢাকা ইস্টওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছি। এটি এশিয়ান হাইওয়ের সাথে যুক্ত থাকবে।
সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ততা রোধ করার ওপর সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায় জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সে লক্ষ্যে, ২০২১ সালের মধ্যে দেশের মহাসড়ক নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ ২৮টি স্হানে এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন স্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, দেশের পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার জন্য ৬১টি সেতু নির্মাণ/পুনঃনির্মাণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ অর্ধেকের বেশি শেষ হয়েছে; চলমান আছে ২য় কাঁচপুর, ২য় মেঘনা ও ২য় গোমতী সেতু নির্মাণের কাজ; গলাচিপা, পায়রা ও কচা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ এবং পাটুরিয়া-গোয়ালন্দ অবস্থানে ভবিষ্যতে ২য় পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা আছে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, নবম (বগা সেতু), দশম (মোংলা সেতু) ও একাদশ (ঝপঝপিয়া) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণের জন্য চীন সরকারের সাথে সমাঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে। তদুপরি, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি ২০২২ সাল নাগাদ এর কাজ সম্পন্ন করতে পারবো।
বাসস/এএসজি/বিকেডি/১৬৫০/এইচএন