বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনের উদ্যোগে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

202

ঢাকা, ২৭ র্মাচ, ২০১৯ (বাসস) : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
বহির্বিশ্বের বাংলাদেশ মিশনসমুহ থেকে আজ বুধবার ঢাকায় প্রাপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দক্ষিণ কোরিয়ায় সাড়ম্বরে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
এতে বলা হয়, এ উপলক্ষে মঙ্গবার সন্ধ্যায় সিউলের স্থানীয় একটি হোটেলে দূতাবাসের উদ্যোগে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার লী তে-হো। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোরিয়া-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারী ফ্রেন্ডশীপ এসোসিয়েশনের সভাপতি কিম কিসন এমপি এবং ইউএনএইচসিআর’র শুভেচ্ছাদূত ও স্বনামধন্য অভিনেতা জং উ-সুং ।
বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, গুরুত্বপূর্ণ প্রচার মাধ্যমের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিবৃন্দ ও বিপুলসংখ্যক কোরিয়ান ব্যবসায়ী, এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, প্রবাসী বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।
ঐতিহ্যবাহী কারুপণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন আকর্ষনীয় পর্যটনস্থানের পোস্টার দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। বাংলাদেশ ও কোরিয়ার জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
এছাড়াও এক আলোচনা সভায় সিউলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার বক্তৃতার শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সেইসাথে মুক্তিযুদ্ধে আত্মউৎসর্গকারী ৩০ লক্ষ শহীদ, নির্যাতিতা ২ লক্ষ মা-বোনসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্বশান্তি, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন প্রদান ও মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
এরআগে ২৬ মার্চ সকালে রাষ্ট্রদূত দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। দূতাবাসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল থেকে পাঠ করা হয়। পরে দূতাবাসের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনান।
উল্লে¬খ্য, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে দূতাবাসের সহায়তায় স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য কোরিয়া টাইমস, দ্য জুংআং ডেইলী ও দ্য কোরিয়া পোস্টে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয় ।
এদিকে ঢাকায় প্রাপ্ত অপর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আফ্রিকার আদ্দসি আবাবাস্থ বাংলাদশে দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য উৎসাহ উদ্দীপনা এবং জাকজমকপূর্ণ পরবিশেে স্বাধীনতা ও জাতীয় দবিস পালন করা হয়।
২৬ মার্চ পূর্বাহ্নে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং দূতাবাসরে কমর্কতা-র্কমচারবিৃন্দ ও ইথওিপয়িা প্রবাসী বাংলাদশেী নাগরকিবৃন্দরে অংশগ্রহণে সম্মলিতিভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরবিশেনরে মধ্য দয়িে দবিসরে অনুষ্ঠানরে সূচনা হয়।
পরে সন্ধ্যায় আদ্দসি আবাবাস্থ ইথওিপয়িান স্কাইলাইট হোটেেল ৪৯তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দবিস উপলক্ষে এক সংর্বধনার আয়োজন করা হয়।
ইথওিপয়িার সরকাররে তনিজন প্রতমিন্ত্রী, সংসদ সদস্যগণ, পররাষ্ট্র এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়রে র্ঊধ্বতন র্কমর্কতাবৃন্দ, ইথওিপয়িার ১৩০টি আবাসকি দূতাবাসরে মধ্যে শতাধকি দশেরে রাষ্ট্রদূত, র্ঊধ্বতন র্কমর্কতাবৃন্দ, বশ্বিবদ্যিালয়রে শক্ষিক, বুদ্ধজিীবী, বভিন্নি সামাজকি প্রতষ্ঠিানরে প্রধানগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ইথওিপয়িান এবং ইথওিপয়িায় র্কমরত প্রবাসী বাংলাদশেীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ফিলিপাইনের ম্যানিলায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয় ।