বাসস দেশ-১৮ : রমনায় ২৬ মার্চ রাতে নিহতদের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির দাবি

121

বাসস দেশ-১৮
গণহত্যা-দিবস-আলোচনা
রমনায় ২৬ মার্চ রাতে নিহতদের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির দাবি
ঢাকা, ২৭ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কালো রাতে নিহতদের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি, আর্থিক সহায়তা ও পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন।
আজ বুধবার রমনা কালী মন্দির প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তারা এই দাবি জানান।
রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রম- এর ১৯৭১ সালের ক্ষতিগ্রস্ত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার পুনর্বাসন কমিটির উদ্যোগে জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে দুই দিনব্যাপী এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন পরিবারের সদস্যদের দাবিসমূহের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সাথে আলাপ-আলোচনা করবো। আশা করি এ ব্যাপারে একটি সুষ্ঠু সমাধানে পৌঁছাতে পারবো।’
কমিটির উপদেষ্টা কাঞ্চন মিস্ত্রি’র সভাপতিত্বে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ সভাপতি শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র আহ্বায়ক পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, রমান কালী মন্দির শহীদ পরিবারের উপদেষ্টা কনক বিশ^াস, মন্দির কমিটির সভাপতি উৎপল সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সজীব বিশ^াস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা রমনা কালীমন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রমের গণহত্যায় নিহত শহীদদের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের গেজেটে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার পাশাপাশি এই স্থানে গণহত্যায় নিহত শহিদদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা এবং নিহত শহিদদের পরিবারকে পুনর্বাসন করার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবার কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপুল রায় লিখিত বক্তব্যে বলেন, এই মন্দিরের অভ্যন্তরে ও মন্দির প্রাঙ্গণে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কালো রাতে যারা শহীদ হয়েছিলেন তারা আজও রাষ্ট্রীয় সহায়তা থেকে বঞ্চিত। অথচ গণতদন্ত কমিশনের রিপোর্টে তাদেরকে ‘শহীদ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাসস/সবি/বিকেডি/১৭১৫/এএএ