বাসস বাজেট-১৮ : আগামী অর্থ বছরে ১২০ কিলোমিটার নতুন রেল লাইন নির্মাণ করা হবে : অর্থমন্ত্রী

212

বাসস বাজেট-১৮
রেলপথ-বাজেট
আগামী অর্থ বছরে ১২০ কিলোমিটার নতুন রেল লাইন নির্মাণ করা হবে : অর্থমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ জুন, ২০১৮ (বাসস) : আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে রেলপথ খাতে মোট ১৪ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে এই প্রস্তাব করেন তিনি।
আগামী অর্থবছরের জন্য পরিচালন খাতে ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ১১ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রেল খাতে মোট ১৬ হাজার ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছিল। আর ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে তা সংশোধিত হয়ে ১৩ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকায় দাড়ায়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে রেলওয়ে একটি সাশ্রয়ি, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব মাধ্যম। রেলখাতের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইতো:পূর্বে প্রণীত ২০ বছর মেয়াদি রেলওয়ে মহাপরিকল্পনা হালনাগাদ করা হয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় ২০৪৫ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়নের জন্য ২৩০টি প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে। রেলপথ সম্প্রসারণ, নতুন রেলপথ নির্মাণ ও সংস্কার, সড়কপথকে ডুয়েলগেজে রুপান্তরকরণ, নতুন ও বন্ধ রেল স্টেশন চালু করা, নতুন ট্রেন চালু ও ট্রেনের সার্ভিস বৃদ্ধি করা, ট্রেনের কোচ সংগ্রহ ইত্যাদি কাজ অব্যাহত আছে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আগামী অর্থ বছরে ১২০ কিরোমিটার নতুন রেল লাইন নির্মাণ, ২২ কিলোমিটার পুর্নবাসন, ২ জাজার ৫৫০ কিলোমিটার রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণ, ৫৫টি নতুন রেল সেতু নির্মাণ, ১৬ টি স্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, ৫০টি বিজি ও এমজি যাত্রীবাহি কোচ সংগ্রহ ও ৪০টি ক্যারেজ পুর্নবাসন করতে চাই।
তিনি বলেন, কয়েক বছরের মধ্যে আরও ৩৯৫ কিলোমিটার নতুন রেললাইন, ৭৬ কিলোমিটার রেললাইন পুর্নবাসন ও ১৭৩টি নতুন রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা আছে আমাদের। বর্তমানে যমুনা নদীর ওপর বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকসম্পন্ন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’ নির্মাণের সম্ভাব্যতা জরিপের কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের অনেক অব্যবহৃত ভূমি রয়েছে। এসব অব্যবহৃত ভূমির ওপর পিপিপি’র আওতায় শপিং মল, ফাইভস্টার হোটেল, মেডিকেল কলেজ নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে রেলপথের গুরুত্ব বিবেচনায় রেলপথের নেটওয়ার্ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। এর অংশ হিসাবে ‘খুলনা হতে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প’, ‘বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প’, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনের তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্প’, ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প’সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প এই অর্থ বছরের বাজেটে বাস্তবায়ন করা হবে।
বাসস/এএসজি/এমএন/১৬৪৫/জেহক