বাজিস-৩ : পিরোজপুরে বিশুদ্ধ পানির বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে

153

বাজিস-৩
পিরোজপুর-বিশুদ্ধ পানি
পিরোজপুরে বিশুদ্ধ পানির বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে
পিরোজপুর, ২৭ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলাবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় এবং বিভিন্ন উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় এসকল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
চলতি অর্থ বছরে বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা করণের লক্ষ্যে ১৮ কোটি ৯৪ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা ব্যয় করে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩৬টি পুকুর পুনঃখনন। প্রতিটি পুকুর পুনঃখননে ব্যয় করা হচ্ছে ১৮ লক্ষ টাকা। পল্লী পানি সরবরাহ প্রকল্পে গভীর নলকূপ বসানো হচ্ছে ১০৩টি। প্রতিটি গভীর নলকূপে ব্যয় হচ্ছে ৭৬ হাজার টাকা এবং প্রতিটি নলকূপ থেকে শতাধিক মানুষ বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে পারবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিকে পানি সরবরাহ প্রকল্পটিও পিরোজপুর জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
চলতি অর্থ বছরে এ প্রকল্পে ৪৮৯টি গভীর নলকূপ বসানো হচ্ছে। প্রতিটি নলকূপ বসাতে ব্যয় হচ্ছে ৭৬ হাজার টাকা। এখানে ব্যয় হচ্ছে ৩ কোটি ৭১ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা। পিরোজপুরে সদর উপজেলায় ৪৬টি, নাজিরপুরে ৪৮টি, কাউখালীতে ৪৮টি, নেছারাবাদে ৪৯টি, ভান্ডারিয়ায়- ৬০টি, মঠবাড়িয়ায়- ১৭৮টি এবং ইন্দুরকানীতে ৬০টি টিউবওয়েল বসানো হচ্ছে। আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পে শুধুমাত্র নাজিরপুর উপজেলায় ১০২টি গভীর নলকূপ বসানো হচ্ছে। এখানে প্রতিটির জন্য ব্যয় হচ্ছে ৭৬ হাজার টাকা এবং এ প্রকল্পে সর্বমোট ব্যয় হচ্ছে ৭৭ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা। ভান্ডারিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
গত এবং চলতি অর্থ বছরে ৪৫০টি করে মোট ৯০০টি গভীর নলকূপ বসানো হচ্ছে। এ প্রকল্পটি চলতি অর্থ বছরেই শেষ হচ্ছে। প্রতিটি নলকূপ বসাতে ৮০ হাজার টাকা করে এখানে ব্যয় হচ্ছে ৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। পিরোজপুরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীর বাসসকে জানান উপকূলীয় এ জেলায় ২০০৮ সালে যেখানে মাত্র ৫৫% মানুষ বিশুদ্ধ পানির আওতায় ছিল সেখানে গত অর্থ বছরে প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে। চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
বাসস/সংবাদদাতা/আহো/১৩৩০/নূসী