পোপের অপেক্ষায় মরক্কোর ক্যাথলিকরা

273

রাবাত, ২৭ মার্চ, ২০১৯ (বাসস ডেস্ক): পোপ ফ্রান্সিসের আগমনকে সামনে রেখে দেশটির বিভিন্ন ক্যাথলিক সম্প্রদায় রাবাতের ক্যাথাড্রেলে জড়ো হয়েছে। তারা পোপকে সামনে থেকে একনজর দেখতে চায়। খবর এএফপি’র।
কঙ্গো ব্রাজাভিল থেকে আগত ২৭ বছর বয়সী এরলান্ড কুম্বা বলেন, ‘আমরা ভগ্যবান! পোপ আফ্রিকায় আসছেন।’
শনিবার পোপ দেশটিতে পৌঁছাবেন। রাবাতের আর্চবিশপ ক্রিস্টোবাল লোপেজ রোমেরো এই ঘটনাকে ‘অমূল্য সুযোগ’ হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, তার এই আগমন এটাই প্রমাণ করে যে আমরা বিভেদের চেয়ে একতাকে অধিক গুরুত্ব দেই।
স্প্যানিশ আর্চবিশপ সমাগত মানুষের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ এখানে উপস্থিত হয়েছেন।’
১৯৫৬ সালে স্বাধীনতা লাভের আগে মরক্কোতে প্রায় ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার ক্যাথলিক ছিল।
তখন সেখানে ২শ’টির বেশি ক্যাথলিক গির্জা ছিল। এখন দেশটিতে মাত্র ৪৪টি গির্জা আছে।
২০ বছর বয়সী আইভারিয়ান লিজি বলেন, এর আগে তিনি ধর্মকর্মে খুব একটা বিশ্বাসী ছিলেন না। কিন্তু মরক্কোতে পড়তে এসে সবকিছু পাল্টে গেছে।
তিনি বলেন, ‘এখানে এটা খুব সহজ নয়। মানুষের জীবনে ধর্মের খুবই প্রয়োজন।’
মরক্কোর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদের আমন্ত্রণে পোপ এই দুই দিনের সফরে আসছেন। ‘আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক উন্নয়নে’র অংশ হিসেবে পোপকে এ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বাদশাহ নিজেকে ‘বিশ্বাসীদের নেতা’ এবং ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও দেশটির সংবিধানে ‘সকল ধর্মের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত’ করা হয়েছে।
দেশটিতে মুসলিমদের ধর্মান্তরিত করা আইনত দ-নীয় অপরাধ। ছয় মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদ-ের বিধার রয়েছে।
২০১৬ সালে ক্যাথলিক হওয়া মরক্কোর অধিবাসী মোহাম্মদ বলেন, ‘এটা সত্য যে আরব দেশগুলোর তুলনায় আমাদের বেশি ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে।’
৭০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ বলেন, তিনি ফাদার রাশিদের কথা শুনে খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণে অনুপ্রাণিত হন।’
রশিদ একজন ধর্মান্তরিত ক্রিষ্টান। তিনি মিশরের স্যাটেলাইট চ্যানেল আল হায়াত টিভির উপস্থাপক।
মোহাম্মদ গর্বের সাথে বলেন, ‘এ দেশে খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করার সহজ নয়। তবে আমি গোপনে খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করিনি।’
২৪ বছর বয়সী সিরবিন বলেন, ‘কোন কোন মুসলিমের ধারণা যে আমাদের ¯্রষ্টা এক নন এবং এজন্য আমাদের নরকে যেতে হবে।’