বাসস দেশ-২৫ : বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত

540

বাসস দেশ-২৫
বাংলাদেশ মিশন – গণহত্যা দিবস
বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত
ঢাকা, ২৬ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : পঁচিশে মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জোরালো দাবি উত্থাপনের মধ্যদিয়ে ইসলামাবাদসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের হাই-কমিশন/দূতাবাসে সোমবার (২৫মার্চ) ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় প্রাপ্ত বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বর্হিবিশ্বের বাংলাদেশ মিশনে ২৫ মার্চ বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় মিশনসমূহের সকল বাতি এক মিনিটের জন্য ‘ব্ল্যাক আউট’র মাধ্যমে গণহত্যা দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্যালয়ে গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে ‘ব্ল্যাক আউট’ কর্মসূচি শেষে ২৫ মার্চ কালরাতে শাহাদত বরণকারীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হাইকমিশনার তারিক আহসানের নেতৃত্বে হাই-কমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন। এরপর গণহত্যা সম্পর্কিত পোস্টার প্রদর্শন করা হয়।
গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনার শুরুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে বিশেষ করে ২৫ মার্চ কালরাতে যাঁরা হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতাও পালন করা হয়।
এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, আলোচনা সভায় হাইকমিশনার তারিক আহসান ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে নিরীহ, নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর বিনা প্ররোচণায় অতর্কিত ও বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, এ কাপুরুষোচিত হামলাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার এবং দেশের মাটি থেকে অত্যাচারীদের বিতাড়িত করতে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানানোর ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির বিরূপ প্রভাব থেকে পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষার লক্ষ্যে মহান জাতীয় সংসদে গণহত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তিনি বলেন, একটি সভ্য সমাজের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে এই বার্তাই ছড়িয়ে দিতে চায় যে, ভবিষ্যতে পৃথিবীর আর কোথাও যেনো এরকম গণহত্যার পুনরাবৃত্তি না হয়।
আলোচনা শেষে জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
এছাড়াও ১৯৭১ সালের গণহত্যার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি প্রামাণ্য ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
রিয়াদ থেকে ঢাকায় প্রাপ্ত অপর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় দূতাবাস চত্বরে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চেও গণহত্যাকে স্মরণ করে দূতাবাস প্রাঙ্গণে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ মোমবাতি প্রজ্বলন করেন। এ সময় ২৫ মার্চ কালরাতে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে নীরবতা পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের সময়ের সাথে মিল রেখে দূতাবাসের সকল বাতি এক মিনিট বন্ধ রেখে প্রতিকী ‘ব্ল¬্যাকআউট’ পালন শেষে দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
এ ছাড়াও গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’র স্বীকৃতির দেয়ার জোরালো দাবি উত্থাপন করেন। পরে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত ইতিহাসের ভয়াবহ গণহত্যা নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’ প্রদর্শন করা হয়।
এছাড়াও নেদারল্যান্ডের হেগস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত হয়।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘ভুলবো না’- এ প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধরন করে এ বছর নেদারল্যান্ডসের হেগে বাংলাদেশ দূতাবাস ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করে।
বাসস/সবি-তবি/জেডআরএম/২০১০/এবিএইচ