বাসস বাজেট-১৭ : পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের জন্য ১ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ

242

বাসস বাজেট-১৭
পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়- বাজেট
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের জন্য ১ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ
ঢাকা, ৭ জুন ২০১৮ (বাসস) : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেটে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের জন্য ১ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী এ প্রস্তাব পেশ করেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের জন্য পরিচালন ব্যয় ৭৮৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
বিদায়ি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৮৯১ কোটি টাকা।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উল্লেখযোগ্য কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে- অনুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯ হাজার ৫শত হেক্টর ব্লক বাগান এবং ১৩০০ কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান সৃজন, শিল্প দূষন রোধে পরিবেশ সংরক্ষন আইন-১৯৯৫ এর প্রয়োগ নিশ্চিতকরন ও অব্যহত রাখা, দূষন সৃষ্টিকারি প্রতিষ্ঠানে ইটিপি স্থাপন বাধ্যতামূলক করা, ইট প্রস্তুতিতে পরিবেশ বান্ধব উন্নত প্রযুক্তি উৎসাহিত করা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেনিয়ামের নিয়মিত কার্যক্রমের আওতায় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মাঠ জরিপের মাধ্যমে ১ হাজার ৪শ’ বৃক্ষলতা প্রজাতির নমুনা সংগ্রহ করা এবং এর মধ্য হতে ১ হাজার নমুনার সনাক্তকরণ, সংরক্ষণ ও ডাটাবেজ প্রস্তুতকরন সহ বিভিন্ন প্রকল্প উল্লেখযোগ্য।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, “বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্রাটেজি এন্ড এ্যকশন প্ল্যান- এর আলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য সামগ্রিকভাবে ৬টি থিমেটিক এরিয়ার ৪৪টি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ইউএনএফসিসিসি’-এর সদস্য হিসাবে বাংলাদেশ ‘আইএনডিসি’ দাখিল করেছে, যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে নিজস্ব সক্ষমতায় ৫ শতাংশ এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় ১৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি ‘বাস্তবায়ন পথনকশা’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অত্যধিক দূষণযুক্ত বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু, তুরাগ, হালদা নদীসমূহ ও নদীউপকূলবর্তী এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে সংরক্ষণের জন্য কার্যব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা, হাইড্রোক্লোরোফ্লোরো কার্বন এর ব্যবহার ৩৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ এর জন্য নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ৫১২ কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকা জুড়ে ২৮ হাজার ৫৬০ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বাগান সৃজনের মাধ্যমে সবুজবেষ্টনী স্থাপনের পরিকল্পনা আছে। এছাড়াও সুন্দরবনসহ ১৫টি সংরক্ষিত এলাকায় কার্বন মজুদ নির্ণয়ের কাজ চলছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন খাতে জাতীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৬-২০২১ মেয়াদি জাতীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে এ খাতের মোট বিনিয়োগ চাহিদা, বিদ্যমান বিনিয়োগ ও বিনিয়োগ ঘাটতি নির্ণয় করা হয়েছে। ‘জাতীয় পরিবেশ কাউন্সিল’ অনুমোদিত এই পরিকল্পনায় ৬০টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়নযোগ্য অগ্রাধিকারভিত্তিক বিনিয়োগ কার্যক্রম চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি জানান, চিহ্নিত কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬-২০২১ মেয়াদে মোট ১১ দশমকি ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন, যার মধ্যে সরকারি তহবিল ও উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় ইতোমধ্যে ৪ দশমিক৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং নিরূপিত বিনিয়োগ ঘাটতির পরিমাণ ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাসস/এএসজি/এমকে/১৬৪০/অমি