বাসস দেশ-২৯ : পরস্পর বিরোধীদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভাঙতে সরকারের কিছু করা লাগবে না : তথ্যমন্ত্রী

139

বাসস দেশ-২৯
তথ্যমন্ত্রী-নির্বাচন-সংবাদ সম্মেলন
পরস্পর বিরোধীদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভাঙতে সরকারের কিছু করা লাগবে না : তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পরস্পরবিরোধী আদর্শের দল ও ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত ‘ভঙ্গুর’ ঐক্যের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভবিষ্যতে ভয়ানক পরিস্থিতির মুখে পড়বে। জোটটির ভবিষ্যত অনিশ্চিত। তিনি বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টে যেভাবে ডান, বাম, মধ্য-নানাপন্থার সমাবেশ ঘটেছে, তাতে তাদের ঐক্য ভাঙার জন্য সরকারের কিছু করার প্রয়োজন নেই।’ আজ সোমবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নির্বাচন থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ভীতির জন্য বিএনপি অদূর ভবিষ্যতে জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিনত হবে এবং ইতিমধ্যে তারা অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আমি নির্বাচন ভীতি পরিহার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানাই।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় পর্যায়ে উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কিছু ঘটনা ব্যতিত সার্বিকভাবে নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল এবং ভোটারদের উপস্থিতিও সন্তোষজনক ছিল।’
নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি সম্পর্কে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রশ্ন তোলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু, আমি মনে করি এটা সন্তোষজনক। উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪১ শতাংশ এবং প্রথম পর্যায়ে ৪৩ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি ছিল। আমি ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা বলেছি এবং তারা আমাকে তথ্য দিয়েছে।’ চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে ৪৩ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ৪১ শতাংশ এবং গতকাল রোববার তৃতীয় ধাপে ৪০ শতাংশেরও বেশি ভোটার উপস্থিতিকে সন্তোষজনক উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৫৪ সালে বাঙালির দিক পরিবর্তনের রাজনীতির সময় যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৩৭ শতাংশ। এমনকি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৩০ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় প্রার্থী নির্বাচিত হয়। সেদিক থেকে বাংলাদেশের এই উপজেলা নির্বাচন যথেষ্ট সন্তোষজনক।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করলে ভোটার উপস্থিতি আরও বৃদ্ধি পেত। তিনি বলেন, ‘কিন্তু বিএনপি সবসময়ই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।’
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের একজন সদস্যের নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগত মতামত দেয়া কতটা যৌক্তিক, তা আমি বলতে পারব না।’
বাসস/কেএকে-সবি/অনু-এমকে/১৯০০/-কেএমকে