বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : ’৭১-এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

145

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-স্বাধীনতা পুরস্কার-ভাষণ
’৭১-এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

’৭৫ এর পরে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বসে পড়া এবং শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির অনুপ্রবেশের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এর প্রেক্ষিতে জাতির পিতার কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ তথা বাকশাল প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য আলোচনায় তুলে ধরেন।
’৭৩ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বাইরে থাকা দলগুলো ৯টি আসনে জয়লাভ করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা কখনও নির্বাচনে জয়ী হতে পারে না সেসব রাজনৈতিক দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতির পিতা বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়াম লীগ গড়েছিলেন। এটি একটি জাতীয় ঐক্যভিত্তিক প্লাটফর্ম ছিল। যেখানে ঐক্যের মধ্যদিয়ে সকলেই দেশের কাজ করবে এবং সেখানে সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে সম্পৃক্ত করে তিনি উন্নয়নের ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা যেই ব্যবস্থাটা নিয়েছিলেন সেটা কার্যকর করা গেলে বাংলাদেশে জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে আর কেউ খেলতে পারতো না। নিজের মনের মতো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জনগণ নির্বাচিত করতে পারতো।
সরকার প্রধান বলেন, জাতির পিতা সেময় নির্বাচনের যে পদ্ধতি করেছিলেন সে অনুযায়ী যার যার নির্বাচন সে সে করতে পারবে। নির্বাচনের খরচ প্রতিটি প্রার্থীকে দিয়ে দেওয়া হবে রাষ্ট্রের তরফ থেকে। প্রতি আসনের জন্য পৃথক একটি করে পোষ্টারে সকল প্রার্থীর নাম ছাপিয়ে দেওয়া হবে কাজেই জনগণের সাথে যার যোগাযোগ আছে, সম্পৃক্ততা আছে তারা নির্বাচিত হবেন। অর্থাৎ ভোটের অধিকার তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কাছে যাতে পৌঁছায়, তাঁরা যেন স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে সেই সুযোগ তিনি করে দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দু’টি নির্বাচন হয়েছিল সেসময়। এর একটি কিশোরগঞ্জে অপরটি পটুয়াখালীতে। সেখানে বড় কোন দলের কেউ নয়, সাধারণ একজন স্কুল মাস্টার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিল। অর্থাৎ অর্থ-বিত্ত দিয়ে কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে নি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার একটা কথা ছিল একটা বিপ্লবের পর সমাজে একটা বিবর্তন আসে। যেসব দেশ মুক্তিযুদ্ধ করেছে সেসব দেশেই এমনটি হয়, পরিবর্তন বা বিবর্তনের পরে কিছু লোক আর্থিকভাবে শক্তিশালী হয়ে যায়। সেটা যেন সমাজে স্থান না পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তিনি এই বাকশাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
সেইসাথে আমাদের জনসংখ্যা বেশি এবং চাষের জমি কম থাকায় সেখানে তিনি ব্যবস্থা নিয়েছিলেন সমবায়ের মাধ্যমে আমাদের দেশে উৎপাদন হবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জমির মালিকানা মালিকের কাছেই থাকবে। কোন মালিকানা নেওয়া হবে না। কিন্তু জমিটি সমবায়ের মাধ্যমেই চাষাবাদ হবে। উৎপাদিত ফসলের একটা অংশ যারা শ্রম দেবে তারা পাবে, একটা অংশ মালিক পাবে আর একটা অংশ পাবে সমবায় এবং আধুনিক প্রযুক্তি কৃষিতে ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়ানো হবে।
ড. কুদরত-ই-খুদাকে প্রধান করে শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বাস্তবায়নকালেই ’৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করায় সে রিপোর্ট আর বাস্তবায়িত হতে পারেনি উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘তিনি বেঁচে থাকলে আর ৫-৭ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী হয়ে গড়ে উঠতে পারতো।’
বাসস/এএসজি-এফএন/১৭০৫/আরজি