বাজিস-৪ : নাগরপুর ব্রিজের দু’পাশে মাটি ভরাটসহ সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে

121

বাজিস-৪
টাঙ্গাইল-নাগপুর-ব্রিজ
নাগরপুর ব্রিজের দু’পাশে মাটি ভরাটসহ সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে
টাঙ্গাইল, ২৫ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : জেলার নাগরপুরে ব্রিজ নির্মাণের দেড় বছর অতিবাহিত হলেও দু’পাশে মাটি ভরাটসহ সংযোগ সড়ক না থাকার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলার ৭টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। নাগরপুর উপজেলা সদরে আসতে তাদের অতিক্রম করতে হচ্ছে উপজেলা সদর ইউনিয়নের আলোকদিয়া, আন্দিবাড়ি, পানান, পাইশানা ও ভাদ্রা ইউনিয়নের কোদালিয়া, সিংদাইর, খাগুরিয়া।
এলাকাবাসী জানান, আশেপাশের প্রায় ৭টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের উপজেলা সদরে আসার জন্য দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের নাগরপুর উপজেলার ভালকুটিয়া পাকার মাথা থেকে একটি পাকা রাস্তা ও নোয়াই নদীর উপর একটি ব্রিজ। নোয়াই নদীর উপর ব্রিজ নির্মিত হলেও দুর্ভোগ কমেনি এলাকাবাসীর। সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় তাদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। ব্রিজ নির্মিত হলেও তারা ব্রিজ ব্যবহার করতে পারছে না। তার ওপর তাদের যে পায়ে হাঁটার রাস্তা রয়েছে সেটিও বর্ষা মৌসুমে প্রায় ছয় মাস পানিতে ডুবে থাকে।
নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৬ সালে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ভালকুটিয়া থেকে আলোকদিয়া যাওয়ার পথে নোয়াই নদীর উপর ৭২.৬ মিটার ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। মের্সাস দাস ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ১ বছর পর বিগত ২০১৭ সালে নির্মাণ কাজ শেষ করে। ব্রিজ নির্মাণের পর ব্রিজের দু’পাশে ২০০ মিটার করে মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও মাটি ভরাট করা হয়নি। চলাচলের বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় ব্রিজের নিচ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী।
রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী স্থানীয় বাসিন্দা চন্দনা আক্তার, রহিমা বেগম, আকলিমা আক্তার জানান, আগে ব্রিজ ছিল না তখন যেভাবে নৌকায় ও কাপড় ভিজিয়ে রাস্তা পার হয়েছি, ব্রিজ নির্মাণের পরও একই অবস্থা।
নাগরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য আলম হোসেন জানান, এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল ব্রিজ নির্মাণ। কিন্তু ব্রিজ নির্মিত হলেও এর কোন সুফল আমরা পাচ্ছি না। রাস্তা না থাকায় রোগী, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের যাতায়াত দুরূহ হয়ে পড়েছে। মাটি ভরাটের কাজ নিয়ে এলাকাবাসী ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে জটিলতা বাধে। তারা অন্যের জমিতে বাংলা ড্রেজার লাগিয়ে বালু তুলতে গেলে জমির মালিক বাধা দেয়। এরপর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাটি ভরাট না করেই চলে যায়।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী শাহীনুর আলম জানান, মামলা জটিলতার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারেনি। আমরা নতুন করে মাটি ভরাটের জন্য টেন্ডার আহ্বান করবো। আর পাকা রাস্তা থেকে ব্রিজ পর্যন্ত একটি রাস্তার জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি।
বাসস/সংবাদদাতা/মমআ/১৫১৫/-নূসী