প্রিমিয়ার লিগ : প্রাইম ব্যাংকের কাছে হেরেছে আবাহনী, শেখ জামালকে জেতালেন এনামুল, সহজ জয় রূপগঞ্জের

585

ঢাকা, ২২ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) :
হ্যাট্টিক সেঞ্চুরি করে আবাহনীকে প্রথম হারের স্বাদ দিলেন এনামুল
গত দুই ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ-শেখ জামালের পর ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে আজ আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করলেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের ওপেনার এনামুল হক। তার ১০২ রানের সুবাদে এবারের আসরে প্রথম হারের স্বাদ পেলো আবাহনী। প্রাইম ব্যাংকের কাছে ১৬ রানে হেরেছে আবাহনী। প্রথম তিন জয়ের পর চতুর্থ ম্যাচে এসে প্রথম হারের স্বাদ নিলো আবাহনী। তারপরও ৫ খেলায় ৪ জয় ও ১ হারে ৮ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষেই আছে আবাহনী। সমানসংখ্যক ম্যাচে সমান ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে প্রাইম ব্যাংক।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় আবাহনী। ওপেনার জাকির হাসানের সাথে ৫০ রানের জুটি গড়ার পর ভারতের অভিমন্যু ইয়াস্বরনের সাথে দলের রানের চাকা সচল রাখেন এনামুল। শেখ জামালের বিপক্ষেও শেষ ম্যাচে বড় জুটি গড়েন তারা। দ্বিতীয় উইকেটে ২০৮ বলে ১৯৪ রান যোগ করেন এনামুল- অভিমন্যু জুটি। ঐ ম্যাচে দু’জনই সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছিলেন । আজও একত্রে জোড়া সেঞ্চুরির পথেই হাটচ্ছিলেন তারা। কিন্তু দুর্ভাগ্য অভিমন্যু’র। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৯৬ বলে ৮৫ রান করে আউট হন তিনি। এবার জুটিতে ১৫৪ রান যোগ করেন তারা।
তবে সেঞ্চুরি পান এনামুল। সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংসটি বড় করতে পারেননি এনামুল। ১০২ রানে থামেন তিনি। তার ১২৮ বলের ইনিংসে ৫টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো। এ ছাড়া শেষদিকে আরিফুল হকের ৭টি চারে ২৭ বলে অপরাজিত ৫১ রানে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩০২ রানের বড় সংগ্রহ পায় প্রাইম ব্যাংক।
জবাবে ভালো শুরু না হলেও, সৌম্য সরকারের ৩৬ রানের পর ভারতের ওয়াসিম জাফর-নাজমুল হোসেন শান্ত ১৩২ রানের জুটি গড়ে আবাহনীকে শক্তভাবেই খেলায় রাখেন। কিন্তু এই দু’জনের আউটে বেকাদায় পড়ে যায় আবাহনী। জাফর ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯১ বলে ৯৪ ও শান্ত ৮২ বলে ৭৩ রান করে থামেন।
পরের দিকে একাই লড়াই করেছেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। কিন্তু তার লড়াই বিফলে যায়। ৪৭ বলে ৫২ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রানে অলআউট হয় আবাহনী। ৩টি করে উইকেট নিয়ে প্রাইম ব্যাংকের জয়ে অবদান রাখেন নাহিদুল ইসলাম-আব্দুর রাজ্জাক ও আল-আমিন। প্রত্যকে ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন প্রাইম ব্যাংকের এনামুল।

শেষ বলে ছক্কা মেরে শেখ জামালকে জেতালেন এনামুল
ঢাকা, ২২ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের বিপক্ষে শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে ১২ রান দরকার পড়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। প্রথম পাঁচ বল থেকে ৬ রান তুলেন শেখ জামালের দুই লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যান। তাই শেষ বলে জিততে লাগে ৬ রান। শেষ বলে ছক্কা মেরে শেখ জামালকে দুর্দান্ত জয় এনে দেন এনামুল হক(২)। ফলে এক ম্যাচ পরই ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে জয়ের ধারায় ফিরলো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে শেখ জামাল ২ উইকেটে হারায় মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবকে। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেলো মোহামেডান। ৫ খেলায় ২ জয় ও ৩ হারে ৪ পয়েন্ট আছে শেখ জামালের। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৩ জয় ২ হারে ৬ পয়েন্ট মোহামেডানের।
সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাটিং-এ নামে মোহামেডান। ওপেনার আব্দুল মজিদের হাফ-সেঞ্চুরির সাথে মোহাম্মদ আশরাফুলের ৪৪, শ্রীলংকার চাতুরাঙ্গা ডি সিলভার ৪৯ ও সোহাগ গাজীর ৩২ রানের পর ২৪০ রানে অলআউট হয় মোহামেডান। ৯০ বলে ৫২ রান করেন মজিদ। শেখ জামালের সালাউদ্দিন শাকিল ৪১ রানে ৩ উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ২৪১ রানের জবাবে ওপেনার ইমতিয়াজের ব্যাটে চড়ে লড়াইয়ে টিকে ছিলো শেখ জামাল। মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা ছোট ছোট ইনিংস খেলে ইমতিয়াজকে সহায়তা করছিলেন। কিন্তু ইমতিয়াজ ফিরে যাবার পর শেখ জামালের জয়ের পথ কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু ১৭ বলে মারমুখী ২৮ রানের ইনিংস খেলে শেষ বলে শেখ জামালকে দুর্দান্ত এক জয় এনে দেন এনামুল হক। ম্যাচ সেরা হন ইমতিয়াজ।

মেহেদি-জাকেরের জোড়া সেঞ্চুরিতে সহজ জয় রূপগঞ্জের
ঢাকা, ২২ মাচর্, ২০১৯ (বাসস) : ওপেনার মেহেদি মারুফ ও জাকের আলির জোড়া সেঞ্চুরিতে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে হেসেখেলে জিতলো লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। আজ নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে রূপগঞ্জ ৮ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে। ৫ খেলায় ৪ জয় ও ১ হারে ৮ পয়েন্ট আছে রূপগঞ্জের। সমানসংখ্যক ম্যাচে ২ জয় ৩ হারে ৪ পয়েন্ট গাজীর।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং-এ নামে রূপগঞ্জ। ভারতের পারভেজ রসুলের ৮০ বলে অপরাজিত ৮৬ রানে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫০ রান করে গাজী। নিজের মারমুখী ইনিংসে ৪টি করে চার-ছক্কা মারেন রসুল।
জবাবে ২৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় রূপগঞ্জ। তবে তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলন মারুফ ও জাকের। তৃতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২২৬ রান করেন তারা। দু’জনই সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। মারুফ ১২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১৩৭ বলে ১৩৭ রান করেন। জাকের ১৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১২৬ বলে ১০৭ রান করেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন মারুফ।