বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাসে টেকসই উদ্যোগ প্রয়োজন : রাষ্ট্রপতি

296

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
রাষ্ট্রপতি-বাণী
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাসে টেকসই উদ্যোগ প্রয়োজন : রাষ্ট্রপতি
ঢাকা, ২২ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিহ্রাসে সকল দেশের সমন্বয়ে টেকসই উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে আবহাওয়ার অস্বাভাবিক আচরণ এখন বিশ্বব্যাপী অনুভূত হচ্ছে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিহ্রাসে সকল দেশের সমন্বয়ে টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ ও আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানি বিষয়ক তথ্যের আদান-প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু সম্পর্কিত ঝুঁকি মোকাবিলাসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি উপশমে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন, সচেতনতা বৃদ্ধি ও আবহাওয়ার গতি প্রকৃতি সম্পর্কে স্বচ্ছ ও সঠিক ধারণা পাওয়া সম্ভব হবে।’
রাষ্ট্রপতি বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামীকাল শনিবার ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস-২০১৯’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, আবহাওয়া জীবন ও জগতের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। পৃথিবীর উষালগ্ন থেকে মানব সভ্যতার বিকাশ, উত্থান-পতন, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে আবহাওয়া ও জলবায়ুর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
তিনি বলেন, পৃথিবীর প্রাকৃতিক শক্তির ভারসাম্য রক্ষা, পানিচক্র, আবহাওয়া ও জলবায়ু ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে সূর্য ও পৃথিবীর মিথস্ক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এ প্রেক্ষিতে বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘সূর্য, পৃথিবী ও আবহাওয়া’ যথার্থ হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ আবহাওয়াগত দিক থেকে বৈচিত্র্যময় দেশ। এখানে আবহাওয়ার গতি প্রকৃতির সাথে বিভিন্ন ধরনের ফল-ফসলের উৎপাদন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই আন্তঃদেশীয় আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্যের আদান-প্রদান ও সঠিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস জীবন ও সম্পদ রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আবদুল হামিদ আশা করেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্য তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষত কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে।
তিনি ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০১৯’র সফলতা ও সার্থকতা কামনা করেন
বাসস/তবি/জেডআরএম/১৯৩০/অমি