বাসস বিদেশ-৫ : বারকিনা ফাসোয় জঙ্গি হামলায় অনেক লোক নিহত : এইচআরডব্লিউ

171

বাসস বিদেশ-৫
বারকিনা-সামরিক- রাজনীতি-অস্থিরতা
বারকিনা ফাসোয় জঙ্গি হামলায় অনেক লোক নিহত : এইচআরডব্লিউ
আবিদজান, ২২ মার্চ, ২০১৯ (বাসস-ডেস্ক) : বারকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে কট্টরপন্থী মুসলিম জঙ্গি হামলায় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে এবং প্রাণ বাঁচাতে লক্ষ্যাধিক লোক ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইট ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)-এর বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এএফপি শুক্রবার এ খবর জানায়।
সংগঠনটির ৬২ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বারকিনা ফ্রাসোর উত্তরাঞ্চলীয় সাহেল এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানকালে মুসলিম সশস্ত্র দলগুলোর নৃশংসতায় বিপুলসংখ্যক লোক নিহত এবং বিপুলসংখ্যক লোক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০১৯ সালের শুরুতে এ সন্ত্রাসী ঘটনায় বহুসংখ্যক গ্রামবাসী পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
হিউম্যান রাইট ওয়াচের সাহেল এলাকার পরিচালক কোরিন ডুফকা বলেন, ‘বারকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় বর্তমান পরিস্থিতিতে কত জনকে হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা যায়নি।’ তবে তিনি বলেন, ‘গ্রামবাসী সেখানে মুসলিম জঙ্গি ও সরকারের নিরাপত্তাবাহিনী উভয়ের ওপর শঙ্কিত হয়ে বসবাস করছে। তারা প্রতিবাদ জানালেও তা অগ্রাহ্য করা হয়।’
সরকারি হিসাবে বলা হয়েছে, প্রায় এক লাখ লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে সাবেক ফ্রেন্স কলোনীর গরীবাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের অর্ধেকেরও বেশি ২০১৯ সালের প্রথম দিকে সেখানে আশ্রয় নেয়।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কর্মকর্তাদের বক্তব্য অনুসারে, গত বছরে সাহেল এলাকায় সন্ত্রাসের শিকার হয়ে এক মিলিয়নসহ প্রায় ৪ দশমিক ৩ মিলিয়ন লোক ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়।
জিহাদী দলসমূহ মালির মধ্যাঞ্চল, বারকিনা ফাসো ও নাইজার তাদের দখলে নিয়েছে। এদিকে চাদ সীমান্তে চলছে লড়াই।.
২০১৫ সাল থেকে এপর্যন্ত এ ঘটনায় তিন শতাধিক লোক নিহত হয়েছে। বারকিনা ফাসোর রাজধানী ওয়াগাদোওগুতে এ যাবত তিনবার হামলা হয়।
বাসস/অনু-জেজেড/১৭৫০/-অমি