বাসস দেশ-১৭ : আগামীকাল বিশ্ব পানি দিবস

182

বাসস দেশ-১৭
পানি দিবস-কর্মসূচি
আগামীকাল বিশ্ব পানি দিবস
ঢাকা, ২১ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : আগামীকাল বিশ্ব পানি দিবস। বিশ্বের অন্যান্য অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত এ বছরের বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্যহচ্ছে ‘লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড ।’
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রশাসন শাখা ১৩ মার্চ এক বিঞ্জপ্তিতে জানিয়েছে, আগামী ১১ এপ্রিল দিবসটি দেশব্যাপি উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
ফসল উৎপাদনে সেচকাজে পর্যাপ্ত পানি প্রাপ্তির নিশ্চয়তা বিধানের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘পানি ব্যবস্থাপনার ওপর খাদ্য নিরাপত্তা অনেকাংশে নির্ভরশীল। কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে ফসল উৎপাদনে, সেচকাজে পর্যাপ্ত পানি প্রাপ্তির নিশ্চয়তা বিধানের কোনো বিকল্প নেই।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে কৃষি, শিল্পসহ সব ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, জীবন ও পরিবেশের মৌলিক উপাদান পানি। কৃষি, শিল্প, মৎস্য ও পশুপালন, নৌ-চলাচল, বনায়ন ও জীববৈচিত্র্য পানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু ভূ-গর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার, উপকূলীয় এলাকার পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ণ ও শিল্পায়ন, মারাত্মক পরিবেশ দূষণ, পানি প্রবাহে কৃত্রিম বাধা সৃষ্টি এবং জলবায়ু পরিবর্তন সুপেয় পানির উৎসকে ক্রমশ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ সাধারন সভা ২২ মার্চ তারিখটিকে বিশ্ব পানি দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। এর আগে ১৯৯২ সালে ব্্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে জাতিসংঘ পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্মেলনের (ইউএনসিইডি) এজেন্ডা ২১এ প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয়।
বাসস/কেসি/১৮২০/কেএমকে