বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : উন্নয়ন প্রকল্প এমনভাবে গ্রহণ করুন যাতে জনগণ কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় : প্রধানমন্ত্রী

174

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-মাতারবাড়ি
উন্নয়ন প্রকল্প এমনভাবে গ্রহণ করুন যাতে জনগণ কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
কক্সবাজারের ব্যাপক সম্ভাবনার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখন্ড সমুদ্রতটের অবস্থান এখানেই রয়েছে। কক্সবাজারকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে এবং একইসঙ্গে এটাকে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে তোলা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেন মহাসড়কের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। সেইসঙ্গে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলযোগাযোগ স্থাপনের কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে, যেখানে দ্রুতগতির রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার কাজও এগিয়ে চলেছে।
প্রায় ১১ লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদান কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের জন্য একটি বিরাট সমস্যা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি এবং এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে স্বাধীনতা এবং স্বল্প সময়ে একটি সংবিধান দিয়ে গেছেন এবং তিনি ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা মানুষের অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ অর্জনের মধ্য দিয়ে আমাদের মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর স্বপ্ন পূরণ হতে পারেনি কারণ, তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট কালরাতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তাঁর অসমাপ্ত কাজকে সম্পন্ন করতেই আমরা এখন দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি।
প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মিরেরসরাই থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্র তীরবর্তী অর্থনৈতিক করিডোর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাঁরা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পাঞ্চল (ফেনী অর্থনৈতিক অঞ্চল, মিরেরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, সীতাকুন্ডু অর্থনৈতিক অঞ্চল), মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম (এমআইডিআই) প্রকল্প এবং সাবরং ইকো ট্যুরিজম পার্ক এই অর্থনৈতিক করিডোরের অন্তর্ভূক্ত।
কর্মকর্তারা বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ জ্বালানি কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ প্লান্ট, কয়লা জেটি এবং একটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মিত হচ্ছে মাতারবাড়িতে।
এই প্রকল্পকে দ্রুত বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, প্রকল্পটি জাইকা’র চলমান জরিপের ওপর নির্ভর করেই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলেন, নির্মানাধীন ৩৭টি প্রকল্পের মধ্যে ১৫টিই জাপান সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে জাইকা’র বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাসস/এসএইচ/অনুবাদ-এফএন/১৮১৪/আরজি