ব্যবহারযোগ্য পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে : শেখ হাসিনা

204

ঢাকা, ২১ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে কৃষি, শিল্পসহ সব ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
আগামীকাল ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২২ মার্চ ‘বিশ্ব পানি দিবস ২০১৯’ পালন করা হচ্ছে জেনে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবন ও পরিবেশের মৌলিক উপাদান পানি। কৃষি, শিল্প, মৎস্য ও পশুপালন, নৌ-চলাচল, বনায়ন ও জীববৈচিত্র্য পানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু ভূ-গর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার, উপকূলীয় এলাকার পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ণ ও শিল্পায়ন, মারাত্মক পরিবেশ দূষণ, পানি প্রবাহে কৃত্রিম বাধা সৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তন সুপেয় পানির উৎসকে ক্রমশ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকার জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখার জন্য কৃষি, শিল্পসহ সকল ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ আমরা পানি সম্পদের সমন্বিত উন্নয়ন, ব্যবহার, ব্যবস্থাপনা, বিতরণ ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ পানি আইন-২০১৩’, ‘বাংলাদেশ পানি বিধিমালা-২০১৮’ এবং ‘উপজেলা ও ইউনিয়ন সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা গাইডলাইনস-২০১৮’ প্রণয়ন করেছি।’
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকির কারণে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন যাতে বাধাগ্রস্থ না হয়, সে লক্ষ্যে সরকার শতবর্ষী মহাপরিকল্পনা ‘ডেল্টা প্লান ২১০০’ প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তরসমূহ দেশের পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সার্বিক উন্নতিকল্পে ব্লু-ইকোনমির মতো অর্থনীতির নতুন খাতে এ মন্ত্রণালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ দিবস পালনের মাধ্যমে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।