বাংলাদেশ বিষয়ে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট : তথ্যমন্ত্রী

234

ঢাকা, ১৯ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার চর্চা বিষয়ে সাম্প্রতিক মার্কিন স্টেট ডিপাটমেন্টের মানবাধিকার প্রতিবেদন সম্পূর্ণভাবে পক্ষপাতদুষ্ট ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের কতিপয় সংস্থা যেমন “অধিকার” ও “টিআইবি” থেকে নেওয়া তথ্যের উপর ওপর ভিত্তি করে তৈরি। তাই ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে প্রতিবেদনটি একপেশে বলে মনে করছি।’
মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কতিপয় মিডিয়া ও এনজিও থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এই প্রতিবেদন তাদের নিজস্ব কোন অনুসন্ধানের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়নি।
তিনি বলেন, “প্রতিবেদনের পর্যবেক্ষণগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য বাংলাদেশের জন্য নয়, তাই এটাকে বাংলাদেশ প্রত্যাখ্যান করছে।” তিনি বলেন, বিগত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিলো অত্যন্ত উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ। আওয়ামী লীগ বিপুলভাবে বিজয় লাভ করে।
আওয়ামী লীগ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন পূর্ববর্তী জরিপে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে ৫৭% থেকে ৬৩% ভোট পাবার সম্ভাবনা উল্লেখ ছিল এবং প্রকৃতপক্ষে ৫৮% ভোট পায়। মন্ত্রী বলেন, অপরদিকে বিএনপি প্রথম থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে ছিল। বিএনপি কোন প্রচারনা করেনি, এমনকি অনেক এলাকায় পোস্টারও লাগায়নি তারা। দলটি ৩০০ আসনে ৮০০ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছিলো। বিএনপি শুধুমাত্র নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছিলো। তারা একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রদান করে যাতে কেউ বাদ গেলে অন্যকে প্রার্থী করা যায় সেই লক্ষ্যে।
তিনি বলেন, “বিএনপি বুঝতে পেরেছিলো যে জনগণের কোন সমর্থন তাদের সাথে নেই। তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য।”
ড. হাছান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক কারাগারে প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বন্দী রয়েছে। অনেক নাগরিক পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এসব নিয়ে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা হয়ে থাকে।’
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের নতুন সরকারকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকার জানান যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক হবে বহুমাত্রিক।
তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র হলো বাংলাদেশের একটি বড় উন্নয়ণ সহযোগি দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ রিপোর্ট কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমি মনে করি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেক ভালো।” তিনি বলেন, বাংলাদেশ দেশে ও বিদেশে বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে থাকে। যে কেউ প্রতিবেদন লেখতে পারেন। তবে তা হতে হবে বস্তুনিষ্ঠ।
ড. হাছান বলেন, “আমরা সব সময় সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। কিন্তু অন্ধ সমালোচনা কারো জন্য মঙ্গলময় নয়।”