মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবসকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদানের আহবান

196

ঢাকা, ১৯ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : ঊনিশে মার্চ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবসকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান ও প্রতিরোধযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসন করার আহবান জানানো হয়েছে। আজ দুপুরে ঊনিশে মার্চ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জনতার অংশগ্রহণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ আহবান জানানো জানানো হয়।
কমিটির আহবায়ক আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ, শামসুননাহার ভুঁইয়া এমপি, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান প্রমুখ। ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জনতার অংশগ্রহণ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গণি মিয়া বাবুল।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে জয়দেবপুরের সংগ্রামী জনতা পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু করেছিলেন। এই দিবসটি জাতীয়ভাবে উদযাপন করতে হবে। সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হককে স্বাধীনতা পদক দেয়ার ঘোষণা দেয়ায় অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আজ গাজীপুরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধের বীরদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গাজীপুর জেলা শহরে শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে এই সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।