বাসস ক্রীড়া-১১ : ইতালির পক্ষে খেলার জন্য পুরোপুরি ফিট নয় বালোতেল্লি

140

বাসস ক্রীড়া-১১
ফুটবল-ইতালি
ইতালির পক্ষে খেলার জন্য পুরোপুরি ফিট নয় বালোতেল্লি
মিলান, ১৯ মার্চ ২০১৯ (বাসস) : ফিটনেসের অভাব থাকায় ইউরো ২০২০ বাছাইপর্বে আসন্ন ম্যাচগুলোতে মার্সেই স্ট্রাইকার মারিও বালোতেল্লিকে বিবেচনা করা হচ্ছেনা বলে স্বীকার করেছেন ইতালির কোচ রবার্তো মানচিনি।
৬০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে ব্যর্থ হবার পর ইতালি আবারো নিজেদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টায় পুনর্গঠিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতয় ইউরোপীয়ান মিশন শুরু করতে যাচ্ছে আজ্জুরিরা। শনিবার ফিনল্যান্ডকে আতিথ্য দেবার মাধ্যমে ইউরো ২০২০-র বাছাইপর্ব শুরু করবে ইতালি।
মার্সেইর হয়ে সাত ম্যাচে মূল একাদশে জায়গা পেয়ে পাঁচ গোল করার পরেই মানচিনিকে আশ্বস্ত করতে পারেননি বালোতেল্লি। এমনকি তুরিনোর হয়ে লিগে ১০ গোল করা ২৫ বছর বয়সী আন্দ্রে বেলোত্তিও মানচিনির বিবেচনায় আসতে পারেননি।
এ সম্পর্কে মানচিনি বলেছেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে খেলার মত যথেষ্ঠ ফিট এখনো হয়ে উঠতে পারেননি মারিও। সেপ্টেম্বরের তুলনায় শারিরীকভাবে সে উন্নতি করলেও এখনো শতভাগ ফিট তিনি নন। তার কাছ থেকে আমি আরো বেশি আশা করি। তার বয়স এখন ২৯ বছর। সে এখন অভিজ্ঞতা ও পারফরমেন্সের তুঙ্গে রয়েছে। জাতীয় দলও তার কাছ থেকে সর্বোচ্চটাই আশা করে।’
আগামী ২৬ মার্চ ইতালি পারমাতে লিচটেনস্টেইনের মোকাবেলা করবে।
দুই তারকা ফরোয়ার্ডকে উপেক্ষা করার বিষয়ে ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক কোচ মানচিনি বলেছেন, ‘জাতীয় দলের সবচেয়ে ভাল দিক হচ্ছে প্রত্যেকেই তাদের মতামতগুলো প্রকাশ করতে পারে। আমি আমার পছন্দ সবাইকে জানিয়েছি। এই মুহূর্তে বেলোত্তিকে তার পারফরমেন্স প্রমাণ করেই জাতীয় দলে ফিরতে হবে। সে এখনো বয়সে তরুণ। লিগে সে প্রতিদিনই উন্নতি করছে। অবশ্যই বেলোত্তি দ্রুত জাতীয় দলে ফিরবে বলে আমি আশাবাদী।’
অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার ফাবিও কুয়াগ্লিয়ারেলাকে আবারো জাতীয় দলে ডাকা হয়েছে। ৩৬ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার সাম্পদোরিয়ার হয়ে সিরি-এ লিগে ২৮ ম্যাচে ২১ গোল করে এখনো সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন।
মানচিনির বিবেচনায় আরো ডাক পেয়েছেন রোমার তরুণ মিডফিল্ডার নিকোলো জানিয়োলো ও জুভেন্টাসের স্ট্রাইকার মোয়েস কিন। উভয়েরই বয়স ১৯ বছর। মানচিনি আরো বলেন, আমি আরো কিছু খেলোয়াড়কে এবারের দলে অন্তর্ভূক্ত করেছি। কারণ অনেকেরই বর্তমান কন্ডিশন সম্পর্কে আমি অবগত নই। তাদেরকে চেনার জন্য ও ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্যই জাতীয় দলে ডাকা হয়েছে। এজন্য কয়েকজন স্ট্রাইকারকে ডাকা হয়েছে যাদেরকে ভবিষ্যতের জন্য বিবেচনা করাই মূল উদ্দেশ্য। যারা বাদ পড়েছেন তাদের জন্য আমি দু:খিত। আমাদের হাতে বেশ কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড় রয়েছে যারা বেশ উন্নতি করেছে। এজন্য আমি অনূর্ধ্ব-২১ দলের কোচ ডি বিয়াজিওকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের জন্য আমরা তার কাছ থেকে বেশ কিছু খেলোয়াড় নিয়েছি। এর মধ্যে জানিয়োলোর অভিষেক প্রায় নিশ্চিত। কিনেরও সুযোগ আছে। আশা করছি বালোতেল্লির মতই তারা ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবে। ইউরোপীয়ান বাছাইপর্বে ভাল করার ব্যপারে আমি আত্মবিশ্বাসী।’
১৯৬৮ সালে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের একমাত্র শিরোপা ঘরে তুলেছিল ইতালি। ২০০০ ও ২০১২ সালে অবশ্য আজ্জুরিদের রানার্স-আপ শিরোপা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
বাসস/নীহা/১৪১২/মোজা/স্বব