বাসস দেশ-২৪ : কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণে আগ্রহী জাপানী প্রতিষ্ঠান

316

বাসস দেশ-২৪
কৃষিমন্ত্রী-বৈঠক
কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণে আগ্রহী জাপানী প্রতিষ্ঠান
ঢাকা, ১৮ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে জাপানী প্রতিষ্ঠান ইয়ানমার সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
আজ (সোমবার) রাজধানীর ন্যাম ভবনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সাথে বৈঠকালে জাপানের শতবর্ষি পুরানো প্রতিষ্ঠান ইয়ানমারের প্রিন্সিপাল তাকিশি আন্দো এ আগ্রহের কথা জানান।
প্রিন্সিপাল তাকাশি আন্দো বলেন, বাংলাদেশ কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখা দরকার। এজন্য উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে বেগবান করতে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই।
তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে পাশে থাকা জাপানের শত বছরের পুরাতন এই প্রতিষ্ঠানটি কৃষি উন্নয়নেও কাজ করতে চায়।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
‘আমাদের কৃষির বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণ, এ কথা উল্লেখ করে ড.আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া ও বাজারজাত ব্যবস্থা না থাকায় কৃষক ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না, রাষ্ট্রও বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে কোন সময়ের চেয়ে ভালো এবং বিনিয়োগের উপযোগি পরিবেশও বিদ্যমান। তাই কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক কৃষির জন্য সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ। টেকসই কৃষি উন্নয়ন তথা বিভিন্ন ফসল ও শস্য বহির্ভূত কৃষিখাতের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এখন সময়ের দাবি বলে কৃষিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন,কৃষিজমির পরিমাণ দিন দিন কমছে, কৃষি শ্রমিক শহরমুখী হয়ে অন্য কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে শুধু উন্নত জাত ও সার ব্যবহার করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখা সম্ভব হবে না। সেজন্য ফসল উৎপাদন, ধান কাটা ও কর্তন-পরবর্তী কাজগুলোয় সঠিক যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে অপচয় রোধ করে বাংলাদেশের জনগণের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
ড. রাজ্জাক বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি-যন্ত্রায়ণ বর্তমান সরকারের অগ্রগণ্য বিষয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের মানুষের পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিতে সবজি উৎপাদন,মৎস্য চাষ ও পশুপালনেও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের দিকে সরকার বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে।
তাকিশি আন্দো এ সময় বলেন, কৃষক পর্যায়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে ইয়ানমার। এছাড়াও ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বাজারে রিমোর্ট সেন্সিং টেকনোলজি সম্পন্ন পণ্যও নিয়ে আসতে চায় ইয়ানমার।
রইশুকি ইয়ামাগুচি, শগো দাতে, সুব্রত রঞ্জন দাস,খাইরুল আহসান ও ইয়াসির ইবনে আসাদ ইয়ানমারের প্রিন্সিপাল তাকিশি আন্দোর সঙ্গে ছিলেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/২০২৫/এমএসআই