বাসস ক্রীড়া-৬ : আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে চায় বাংলাদেশ

242

বাসস ক্রীড়া-৬
ক্রিকেট-টি-২০
আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে চায় বাংলাদেশ
দেরাদুন (ভারত), ৬ জুন ২০১৮ (বাসস) : প্রথম দুই টি-২০ ম্যাচ যাচ্ছেতাইভাবে হেরে আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ খুইয়ে হোয়াইটওয়াশ হবার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। আগামীকাল তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচে হারলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেতে হবে টাইগারদের। তবে প্রথম দু’ম্যাচের স্মৃতি ভুলে গিয়ে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না বাংলাদেশ। অপরদিকে, বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করাই প্রধান লক্ষ্য আফগানিস্তানের। দেরাদুনে আগামীকাল সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায়।
শক্তি ও সামর্থ্যের বিচারে পিছিয়ে থেকেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। তারপরও সর্বশেষ নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে খেলতে পারার যোগ্যতা আত্মবিশ্বাসী রেখেছিলো টাইগারদের। ঐ আসরে স্বাগতিক শ্রীলংকাকে টপকে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয় সাকিবের দল। ফাইনালেও দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পর শেষ বলে হার মানে বাংলাদেশ। তবে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের সুবাদে ক্রিকেট বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছিলো তারা।
সেই সুনাম ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করে মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের স্পিনার রশিদ খানের বিষে ব্যর্থ হয়ে প্রথম টি-২০তে ৪৫ রান হার মানে তামিম-মুশফিকুর-মাহমুদুল্লাহরা। আফগানিস্তানের ছুঁড়ে দেয়া ১৬৮ রানের টার্গেট ১২২ রানেই গুটিয়ে যায়। ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ম্যাচ সেরা রশিদ।
তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুড়ে দাঁড়াতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু আবারো রশিদের বিষে ছাড়খাড় হয়ে যায় তারা। প্রথমে ব্যাট করে ১০ ওভার পর্যন্ত ভালো অবস্থায় ছিলো টাইগাররা। এময় তাদের রান ছিলো ৩ উইকেটে ৮১। অবশ্য প্রথম ১০ ওভারে বল হাতে আক্রমণে আসেননি টি-২০র সেরা বোলার রশিদ।
তবে ১১তম ওভারে আক্রমণে এসে বাংলাদেশে মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেন রশিদ। তামিম-সাকিব-সৌম্য- মোসাদ্দেককে দ্রুত ফেরান তিনি। ফলে ৮ উইকেটে ১৩৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ১৩৫ রানের টার্গেট ৭ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় আফগানিস্তান। সামিউল্লাহ শেনওয়ারির ৪৯ ও সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর ১৫ বলে অপরাজিত ৩১ রান আফগানদের সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলে।
দ্বিতীয় টি-২০ হারের জন্য ব্যাটিং ব্যর্থতাকে দায়ী করেন বাংলাদেশ দলনেতা সাকিব আল হাসান, ‘আমরা বোলিং ফিল্ডিং ভালো করেছি। কিন্তু ১৫-২০ রান কম ছিলো আমাদের। ভালো শুরুর পরও দ্রুত উইকেট হারিয়েছি। তারা ১০ ওভারের পর আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে এবং আমরা চাপ সামলাতে না পেরে উইকেট হারিয়েছি। রশিদ দুর্দান্ত বল করেছে। সে বিশ্বমানের বোলার। আমাদের আরও ভালো খেলার দরকার ছিলো।’
এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় দলের প্রশংসা করলেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক আসগর স্টানিকজাই। দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে স্টানিকজাই বলেন, ‘আমরা ভালো খেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমরা জানতাম ভালো খেলতে পারলে জয় আমাদের হবে। রশিদ, মুজিব ও নবী ভালো করেছে। পরের ম্যাচে ভালো পারফরমেন্স করবে দল বলে আশা করি।’
তিন ম্যাচের সিরিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার প্রতিপক্ষের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইওয়াশ হয় টাইগাররা। তবে আফগানিস্তান প্রতিপক্ষকে দু’বার তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে পারে। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে আফগানরা।
বাংলাদেশ একাদশ (সম্ভাব্য) : সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মাহমুদুুল্লাহ রিয়াদ (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, রুবেল হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপু ও আবু হায়দার।
আফগানিস্তান একাদশ (সম্ভাব্য) : আসগর স্টানিকজাই (অধিনায়ক), উসমান গনি, মোহাম্মদ শাহজাদ, শাফিকুল্লাহ, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি, রশিদ খান, মুজিব-উর রহমান, করিম জানাত ও দাওলাত জাদরান।
বাসস/এএমটি/১৬৪০/মোজা/স্বব