বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ : শিশুদের কল্যাণে বর্তমানকে উৎসর্গ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

140

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩
শেখ হাসিনা-বাণী
শিশুদের কল্যাণে বর্তমানকে উৎসর্গ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা, ১৬ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুর প্রতি সহিংস আচরণ এবং সকল ধরনের নির্যাতন বন্ধ করা এবং শিশুদের কল্যাণে বর্তমানকে উৎসর্গ করার আহ্বান জানিয়েছেন। একই ভাবে সবাই মিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স¦প্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথাও বলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানান।
তিনি বলেন, “সকল শিশুর সমঅধিকার নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে পিতা-মাতা, পরিবার ও সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। শিশুর প্রতি সহিংস আচরণ এবং সকল ধরনের নির্যাতন বন্ধ করার জন্যে আজকের এদিনে আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।” ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘এ দিনটি আমাদের জাতীয় শিশু দিবস। সকল শিশুসহ দেশবাসীর প্রতি জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য : বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর জীবন করো রঙিন।”
প্রিয় মাতৃভূমিকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করা, তাদের ব্যক্তিত্ব গঠন, সৃজনশীলতার বিকাশ এবং আত্মবিশ্বাসী করে তোলার লক্ষ্যে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং খেলাধুলার বিভিন্ন শাখায় শিশুদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, শিশুদের জন্য নিরাপত্তা, খাদ্য ও পুষ্টি, আশ্রয় ও সুরক্ষা এবং শিক্ষা ও স¦াস্থ্যের মতো মৌলিক চাহিদা সম্পর্কিত নানাবিধ কর্মসূচিসহ শিশুশ্রম বন্ধ করার লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় টেকসই উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান করা হচ্ছে। প্রায় শতভাগ শিশু এখন বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘ আমরা শিশুদের জন্য জাতির পিতার জীবন ও কর্মভিত্তিক বই প্রকাশ এবং পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংযোজন করেছি।
বর্তমান সরকার শিশুদের কল্যাণে বিভিন্নমুখী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, শিশু অধিকার সংরক্ষণ ও তাদের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ‘বিশ্ব শিশু দিবস’ এবং ‘শিশু অধিকার সপ্তাহ’ পালন করা হচ্ছে। জাতীয় শিশু নীতি-২০১১, শিশু আইন-২০১৩, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে। জাতীয় শিশু দিবস, বাল্যবিবাহ নিরোধ দিবস পালন, পথশিশুদের পুনর্বাসন এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে- বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শিশুদের জীবনকে রঙিন করে গড়ে তুলতে তার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের মূল লক্ষ্যই ছিল বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে তাঁদের অর্থনৈতিক মুক্তি আনয়ন। ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ‘৬৬-এর ৬-দফা, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০ এর নির্বাচন এবং ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। তাঁর নেতৃত্বে আমরা অর্জন করি স¦াধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।” তিনি বলেন, শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অপরিসীম মমতা। তিনি শিশুদের কল্যাণে রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিশেষ বিধান সংবিধানে যুক্ত করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০১৯ উদ্যাপনের লক্ষ্যে আয়োজিত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/কেসি/১৮৫০/কেএমকে