ক্রাইস্টচার্চের হত্যাকারীকে গ্রেফতারের প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর

235

ক্রাইস্টচার্চ (নিউজিল্যান্ড), ১৬ মার্চ, ২০১৯ (বাসস ডেস্ক) : নিউজিল্যান্ডের দুজন গ্রামীণ পুলিশ কর্মকর্তা নাটকীয়ভাবে ক্রাইস্টচার্চে হত্যাযজ্ঞ চালানো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। কর্তৃপক্ষ তার ব্যাপারে সতর্ক সংকেত জারি করার ৩৬ মিনিট পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আরর্ডান ওই দুই পুলিশের সাহসিকতার জন্য তাদের প্রশংসা করেন।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
জেসিন্দা বলেন, ওই হামলাকারী দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৪৯ জন মুসল্লির চেয়ে আরো বেশি লোককে হত্যা করতো।
হামলাকারীর নাম ব্রেন্টন ট্যারান্ট। সে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। তার বয়স ২৮ বছর।
ক্রাইস্টচার্চে আরর্ডান সাংবাদিকদের বলেন, ‘হামলাকারী যে গাড়িতে করে এসে হামলা চালায় সেখানে আরো দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। সে হামলার পর ওই গাড়িতে চড়ে ইতস্তত ঘুরছিল। সে আরো হামলা চালাতে চাচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
হত্যাকারীর গাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া একটি গাড়ি থেকে তার ভিডিও তোলা হয়। গাড়িটি একটি ব্যস্ত রাস্তার পাশে দাঁড় করানো ছিল। পুলিশের গাড়ি তার গাড়িটিকে আটকে সামনের একটি চাকা ফুটো করে দেয়।
দুই পুলিশ কর্মকর্তা সাহসিকতার সাথে তাকে পাকড়াও করে। তাদের একজনের সঙ্গে শুধু একটি হালকা হ্যান্ডগান ছিল।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা গ্রামীণ কমিউনিটি পুলিশ।’
তিনি বলেন, ‘হামলা সম্পর্কে পুলিশকে টেলিফোনে অবহিত করার ৩৬ মিনিটের মধ্যেই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়।’
পুলিশ কমিশনার মাইক বুশও ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার প্রশংসা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তারা আজ যা করে দেখিয়েছেন তাতে আমি খুবই গর্বিত।’
আরর্ডান বলেন, এই ঘটনায় আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থা ৩৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ১১ জন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছেন।