জয়পুরহাটে ফসলের মাঠ বোরোর চারায় সবুজ হয়ে উঠেছে

552

জয়পুরহাট, ১৬ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : জেলার ফসলের মাঠ এখন বোরো’র চারায় সবুজ হয়ে উঠেছে। খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চলতি ২০১৮-২০১৯ রবি ফসল উৎপাদন মৌসুমে বোরো চাষে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করে। রোপা আমন ও আলুর বাম্পার ফলনের পর জেলার কৃষকরা এখন বোরো ধানের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলায় এবার ৬৮ হাজার ৫৭১ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ইতোমধ্যে চাষ হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে। এতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ মে.টন। গত ২০১৭-২০১৮ মৌসুমে জেলায় ৭২ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছিল এবং এতে উৎপাদন হয়েছিল ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৩৩৫ মে. টন চাল। যা জেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। হেক্টর প্রতি গড় উৎপাদন হয়েছিল ৪ দশমিক ৬৩ মে.টন চাল।
জেলায় বোরো চাষ সফল করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগ ইতোমধ্যে মার্চ মাসের সারের বরাদ্দ পেয়েছে । যার মধ্যে রয়েছে ইউরিয়া ৫ হাজার ২১৩ মে. টন, টিএসপি ১ হাজার ৩১৩ মে. টন, এমওপি ১ হাজার ৫শ ৮৩ মে. টন ও ডিএপি ১ হাজার ২ শ ৪৬ মে. টন। বোরো চাষে সেচ সুবিধা প্রদানের জন্য ১ হাজার ৯৫৫ টি গভীর ও ৮ হাজার ৫৯৮টি অগভীর নলকূপ চালু করা হয়েছে।
বিএডিসি (বীজ) কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের বীজ সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের মধ্যে রয়েছে বিআর-২৮, ২৯, ১৬ ও ৫৪ জাতের ধান। হাইব্রিড জাতের মধ্যে রয়েছে এসিআই- ১, ২, ৩, ৪, ৫, ধানীগোল্ড, হিরা-২, ৫, জাগরণ, ময়না, টিয়া, ধানী, এসএল-৮, তেজ।
স্থানীয় ব্যাংক বিশেষ করে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বোরোসহ অন্যান্য ফসল চাষে কৃষকের মাঝে কৃষি ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে সূত্রটি বাসস’কে জানান।
জেলায় বোরো চাষ সফল করতে কৃষক মাঠ স্কুলের মাধ্যমে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে বাসস’কে জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায়।