বাসস ক্রীড়া-১৩ : অভিজ্ঞতার অভাবকে দুষছেন রাহি

289

বাসস ক্রীড়া-১৩
ক্রিকেট-টেস্ট
অভিজ্ঞতার অভাবকে দুষছেন রাহি
ক্রাইস্টচার্চ, ১৪ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইতোমধ্যে শেষ হওয়া দুই টেস্টে বাংলাদেশ বোলারদের পারফরমেন্স ছিলো যাচ্ছেতাই। দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মাত্র ১২ উইকেট শিকার করতে পারে টাইগার বোলাররা। এজন্য ১১৪৭ রান খরচ করেছে তারা। অথচ নিউজিল্যান্ডের পেসারা ছিলেন উজ্জল। কিন্তু বাংলাদেশের পেসাররা কেন ব্যর্থ! বাংলাদেশের পেসারদের ব্যর্থতার কারন হিসেবে অভিজ্ঞতাকে দুষছেন দলের ডান-হাতি বোলার আবু জায়েদ রাহি।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, আমাদের আরও বেশি টেস্ট খেলানো উচিত। অন্যান্য দেশের বোলারদের দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন, তারা অনেকেই অনেকগুলো টেস্ট খেলেছে। কিন্তু সেখানে আমাদের পেসাররা খুব বেশি টেস্ট খেলিনি। আমি মনে করি আমাদেরও অনেক টেস্ট খেলা উচিত।’
হ্যামিল্টনে সিরিজে প্রথম টেস্টে ১০৩ রান দিয়েও উইকেটশূন্য ছিলেন রাহি। তবে ওয়েলিংটনে দ্বিতীয় টেস্টে বল হাতে নজর কাড়েন তিনি। ৯৪ রানে ৩ উইকেট নেন। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের শুরুতেই জোড়া আঘাত হানেন রাহি। ৮ রানের মধ্যে হ্যামিল্টন টেস্টের দুই সেঞ্চুরিয়ান জিত রাভাল ও টম লাথামকে বিদায় দেন রাহি।
বল হাতে পারফরমেন্সে উজ্জল থাকলেও, হতাশ রাহি। কারন দলের সাফল্যকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন তিনি। রাহি বলেন, ‘ব্যক্তিগত পারফরমেন্সে চেয়ে দলের সাফল্যই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দল জিতলে তা আমাদের জন্য ভালো হয়।’
দ্বিতীয় টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেন নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রস টেইলর। তবে দু’বার জীবন পেয়েছেন তিনি। রাহির বলে টেইলরের দু’বার জীবন পাওয়াই ম্যাচ হারের কারন হিসেবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি বলেন, ‘ক্যাচ ড্রপ, ম্যাচেরই অংশ। সম্ভবত ভাগ্য আমার সাথে ছিলো না। আমি এটাকে সহজভাবে নিয়েছি।’
আগের চেয়ে নিজের বোলিং-এ উন্নতি লক্ষ্য করেছেন রাহি। এজন্য বোলিং কোচ ওয়েস্ট ইন্ডিজে কোর্টনি ওয়ালশকে কৃতিত্ব দিলেন তিনি, ‘আগের চাইতে এখন অনেক বেশি সুইং করাতে পারছি আমি। যদি বলে সুইং করানো যায়, তবে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে খেলাটা কঠিন হয়ে পড়ে। আমি ওয়ালশের সাথে কথা বলেছি। আরও কাজ করতে হবে। তবে দেশের থেকে এখানে সুইং বেশি পাচ্ছি। এটাও একটা ভালো দিক।’
নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদির বোলিং থেকেও শেখার চেষ্টা করছেন বলে জানান রাহি, ‘সাউদির (টিম) বাবল ডেলিভারিটি দুর্দান্ত। এটি অনেকটা ক্রস সিম বোলিং এর মত। এটি গ্রিপ হয়ে থাকে আউটসুইং-এর মত। বল যখন পিচে পড়ে, অনেক বেশি সুইং করে। তাই ঐ ডেলিভারিটি শেখার চেষ্টা করছি আমি। তৃতীয় টেস্টের পর সাউদির সঙ্গে এই ডেলিভারি নিয়ে কথা বলবো আমি।’
বাসস/এএমটি/১৭৩০/স্বব