বাংলাদেশ এখন মাছ ও মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ : মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী

440

সংসদ ভবন, ৬ জুন, ২০১৮ (বাসস) : সরকারের বাস্তবমুখী কার্যক্রমের ফলে বাংলাদেশ এখন মাছ ও মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য এম, আবদুল লতিফের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের বিপরীতে মোট উৎপাদন হয়েছে ৪১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন। এই সময়ে দেশে মাংসের চাহিদা ৭১ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টনের বিপরীতে উৎপাদন হয়েছে ৭১ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী জনপ্রতি দিনে মাছ গ্রহণের পরিমাণ ৬২.৫৮ গ্রাম, যা দৈনিক মাথাপিছু মাছের চাহিদার চেয়ে বেশি। জনপ্রতি প্রতিদিন ৬০ গ্রাম মাছ গ্রহণের পরিমাণ খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রকাশিত জাতীয় খাদ্য গ্রহণ নির্দেশিকা- ২০১৫ এ নির্ধারিত। ফলে মাথাপিছু মাছের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
মন্ত্রী বলেন, মৎসজাত উৎস থেকে প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পূরণ, দারিদ্র্য বিমোচন ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। মৎস খাতের এ অনন্য সফলতা ধরে রাখার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এগুলো হলো- জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের আবাসস্থল উন্নয়ন ও প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ, পরিবেশ বান্ধব চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণ, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের সহনশীল আহরণ, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ মাছ সরবরাহ এবং মৎস ও মৎসজাত পণ্য রপ্তানি।
পাশাপাশি মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমেরিকা থেকে শতভাগ ব্রাহামা জাতের হিমায়িত সিমের আমদানি করে দেশি জাতের গাভীর সাথে প্রজনন করে মাংসল জাতের গরুর উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, মাত্র দুই বছরে এই জাতের সংকর গরু ৬শ’ থেকে ১ হাজার কেজি ওজন লাভ করতে সক্ষম। এই প্রকল্পের আওতায় শুরু থেকে এই পর্যন্ত ২ হাজার ৬৩৫টি বকনা এবং ২ হাজার ৭০৫টি ষাড় বাছুরসহ মোট ৫ হাজার ৩৪০টি সংকর জাতের বাছুরের জন্ম হয়েছে।
মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যে গরু মোটাতাজাকরণ প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের একটি নিয়মিত কার্যক্রম উল্লেখ করে নারায়ণ চন্দ জানান, প্রতি বছর কোরবানী উপলক্ষে ইউনিয়ন পর্যায়ে খামারীদের তালিকা প্রণয়ন করে মোটাতাজাকরণ কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করা হয়, যাতে নিরাপদ মাংস উৎপাদন করা সম্ভব হয়। ২০১৭ সালে কোরবানী উপলক্ষে প্রায় ৬০ লাখ গবাদীপশুকে মোটাতাজা করণের আওতায় আনা হয়েছে।