বাজিস-৫ : নওগাঁয় ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ কর্মসূচি সাড়া জাগিয়েছে

152

বাজিস-৫
নওগাঁ-ফেরিওয়ালা
নওগাঁয় ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ কর্মসূচি সাড়া জাগিয়েছে
নওগাঁ, ১২ মাচর্ ২০১৯ (বাসস) : মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেয়ার কর্মসূচী আলোর ফেরিওয়ালা নওগাঁ’র জনমানুষের মধ্যে অত্যন্ত সাড়া জাগিয়েছে। ইতোমধ্যে এ কার্যক্রম জনপ্রিয়ও হয়েছে। বিদ্যুৎ মানুষের জনজীবনে অত্যাবশ্যকীয় গুরুত্বপূর্ণএকটি বিষয়। এক সময় বিদ্যুতের জন্য মানুষের হাহাকার, কৃষিক্ষেত্রে বিশৃংখলতা জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলতো। এদেশে এক সময় কেবলমাত্র বৈদ্যুতিক খুঁটির রাজনীতির মাধ্যমে মানুষকে চরমভাবে ধোকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সে সময় বদলেছে। এখন বিদ্যুতের জন্য মানুষকে বিদ্যুৎ অফিস কিংবা বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে ধন্যা দিয়ে দিনের পর দিন ঘুরতে হয় না।
বর্তমান সরকারের সদিচ্ছার কারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির “আলোর ফেরিওয়ালা” কার্যক্রম বিদ্যুৎ বিহীন বাড়িগুলোতে ফেরি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং প্রশংসিত কর্মসূচীতে পরিণত হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামের ঘরে ঘরে গিয়ে ভ্যানে ফেরি করে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছে আলোর ফেরিওয়ালারা। এ আলোর ফেরিওয়ালাদের কাছে আবেদন করার ৫-১০ মিনিটের মধ্যে মিটার সংযোগ দিয়ে আলো জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে ব্যাপক উপকৃত হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিদ্যুৎবিহীন মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে পল্লীবিদ্যুৎ দোয়ার মিটারিং কার্যক্রম আলোর ফেরিওয়ালা। এ কার্যক্রমের আওতায় নওগাঁর ৪টি জোনাল অফিস থেকে ভ্যানে ফেরি করে আলো পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎবিহীন পরিবারগুলোতে। বিদ্যুৎ নেয়ার জন্য আর কাউকে দালালদের মাধ্যমে এসে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। এক সময় বিদ্যুৎ সোনার হরিণ হলেও বর্তমানে মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে আলোর ফেরিওয়ালা সেই প্রবাদকে মিথ্যা প্রমানিত করে ঘরে ঘরে আলো পৌঁছে দিয়ে সরকারের অঙ্গীকারকে বাস্তবায়ন করছে।
রানীনগর উপজেলা সদরের মুরাদ চৌধুরী, আত্রাই উপজেলার সমেসপাড়া হাট এলাকার আবুল কালাম আজাদ, ভোপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম, মান্দা উপজেলা সদরের মোঃ নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন এ কার্যক্রম চালু হওয়ার ফলে এক সময় মানুষের কাছে বিদ্যুৎ মানে যে সোনার হরিণ হিসেবে খ্যত ছিল এখন খুব সহজেই সেই বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে খুশি সাধারন মানুষ। অল্প খরচে এবং অতি দ্রুত বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন তাঁরা। তাঁরা আরও জানিয়েছেন আলোর ফেরিওয়ালা কর্মসূচীর আওতায় যে সমস্ত গ্রাহকরা বিদ্যুৎ পায়নি তাদের সুবিধার্থে দ্বারে দ্বারে গিয়ে মাত্র ৫-১০ মিনিটের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে আলো জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রানীনগর উপজেলায় অবস্থিত যোনাল অফিসের এজিএম সাইদী সবুজ খান জানিয়েছেন আলোর ফেরিওয়ালার কাছে জামানত ও মিটার খরচ দিলেই ৫-১০ মিনিটের মধ্যে মিটার লাগিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানালেন এ কর্মকর্তা।
সাধারন মানুষ আলোর ফেরিওয়ালা কর্মসূচীটি চালু রাখার যেমন দাবি জানিয়েছেন ঠিক তেমনই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচী চালু রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে।
বাসস/সংবাদদাতা/কেইউ/১৩৩০/নূসী