ইরাকের সাথে সম্পর্ককে ‘বিশেষ’ বলে উল্লেখ করলেন রুহানি

230

তেহরান, ১১ মার্চ, ২০১৯ (বাসস ডেস্ক) : ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সোমবার ইরাকের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ককে ‘বিশেষ’ বলে অভিহিত করেছেন। প্রতিবেশী দেশটিতে তার প্রথম সরকারি সফরকে সামনে রেখে তিনি একথা বলেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
ওয়াশিংটন যখন ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক হ্রাসে তার প্রতিবেশী দেশগুলোকে চাপ দিচ্ছে ঠিক তখনই রুহানি তিন দিনের এই ইরাক সফরে যাচ্ছেন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দরে রুহানি বলেন, ‘ইরাক-ইরানের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যখনই এই অঞ্চলের জনগণ কোন সমস্যায় পড়ে ইরানের কাছে সাহায্য চেয়েছে, তখনই ইরানের সরকার ও জনগণ সর্বশক্তি নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
ইরানের সঙ্গে ইরাকের ঘনিষ্ঠ কিন্তু জটিল সম্পর্ক রয়েছে। ইরাকের শিয়া রাজনৈতিক দলগুলোতে ইরানের ব্যাপক প্রভাব বিদ্যমান।
১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রতিবেশী দেশদুটির মধ্যে দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী ইরাকে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে সাদ্দাম হোসেনকে উচ্ছেদের পর দেশটিতে তেহরানের প্রভাব বেড়ে যায়।
২০১৪ সালে ইসলামিক স্টেট জিহাদিরা মসুল দখল করার পর বাগদাদ ও কিরকুক দখলের হুমকি দিলে বিশ্বের দরবারে ইরাক সাহায্য চাইলে ইরানই সেই আহ্বানে প্রথম সাড়া দেয়।
রুহানি বলেন, ‘আমেরিকার মতো আগ্রাসী দেশের সঙ্গে ইরান-ইরানের সম্পর্কের তুলনা চলে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমেরিকা বরাবরই এই অঞ্চলকে অবজ্ঞা ও অবমাননা করে গেছে। আমেরিকানরা ইরাক ও সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর জনগণের উপর যে বিপুল সংখ্যক বোমা নিক্ষেপ করে তা ভুলে যাবার মতো নয়। এটা আমাদের চিরদিন মনে থাকবে।’
২০১৩ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই রুহানির প্রথম ইরাক সফর।