বাসস দেশ-১৪ : জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর সভা অনুষ্ঠিত

149

বাসস দেশ-১৪
৭ মার্চ-পালন
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ৮ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন এবং নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর গতকাল পৃথক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকায় প্রাপ্ত পৃথক বার্তায় একথা জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য দেন স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও উপস্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম।
এরপর সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনার শুরুতে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিওটি দেখানো হয়।
জাতির পিতার ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ একটি জাতিকে কীভাবে বজ্রকঠিন ঐক্যের পতাকাতলে সমবেত করে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণে উজ্জ্বীবিত করেছিল তা উঠে আসে আলোচকগণের বক্তব্যে। আলোচকগণ এই ভাষণের প্রেক্ষাপট, বিষয়বস্তু, সুদূর প্রসারী প্রভাবের ওপরও আলোকপাত করেন। জাতির পিতার এই ভাষণে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য একজন সুযোগ্য রাষ্ট্রনায়কের সুচিন্তিত কৌশলের সবটুকুই প্রতিভাত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বক্তাগণ।
৭ মার্চের ভাষণ যাতে সর্বদা দীপ্যমান থাকে এবং জাতির পিতার সম্মোহনী দরাজ কন্ঠ যাতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অনুরণিত হয় সেজন্য নতুন প্রজন্মকে ভাষণটি বার বার শোনানোর আহ্বান জানান আলোচকগণ।
বিশ্বসেরা ভাষণ নিয়ে লেখক ও ইতিহাসবিদ জ্যাকব এফ ফিল্ড রচিত ‘উই স্যাল ফাইট অন দ্যা বিচেজ্ : দ্যা স্পীসেস দ্যাট ইন্স্পায়ার্ড হিস্ট্রি’ গ্রন্থে স্থান পাওয়া জাতির পিতার এই ভাষণ সারাবিশ্বের মুক্তিকামী মানুষকে স্বাধীনতার পথে কীভাবে প্রভাবিত করে যাচ্ছে তাও উঠে আসে আলোচনায়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রমনার রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতার দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্ত করে।
আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতি এবং জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা, দু’লাখ নির্যাতিত মা-বোন ও ভাষা শহীদসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মিশনের কাউন্সিলর মো. তৌফিকুর রহমান।
এদিকে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল গতকাল যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করে। অনুষ্ঠানে কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা, ঢাকা হতে পাঠানো রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিটি শব্দ গুরুত্বপূর্ণ এবং এর আবেদন কালোত্তীর্ণ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ৭ মার্চের ভাষণটি প্রদর্শন ছাড়াও অনুষ্ঠানের পরও প্রচারিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে কনস্যুলেটের কর্মকর্তা ও কর্মচারি ছাড়াও কনস্যুলার সেবাগ্রহণকারী অনেক বাংলাদেশি এবং আমেরিকান নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/এমএন/১৭৫০/এএএ