বাসস দেশ-১২ : সুবর্ণ জয়ন্তীতে জাতির পিতার পূর্ণাঙ্গ জীবনী গ্রন্থ রচনায় কমিটি গঠনের দাবি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির

178

বাসস দেশ-১২
ঘাতক দালাল-সংবাদ সম্মেলন
সুবর্ণ জয়ন্তীতে জাতির পিতার পূর্ণাঙ্গ জীবনী গ্রন্থ রচনায় কমিটি গঠনের দাবি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির
ঢাকা, ৭ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারিভাবে তাঁর পূর্ণাঙ্গ জীবনীগ্রন্থ রচনার জন্য একটি কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
আজ বৃহষ্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন সম্পর্কে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রস্তাবনা তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৮ বছর অতিক্রান্ত হলেও এ পর্যন্ত সরকারিভাবে জাতির পিতার পূর্ণাঙ্গ জীবনীগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারিভাবে বঙ্গবন্ধুর পূর্ণাঙ্গ জীবনীগ্রন্থ রচনার জন্য দেশের বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন ও একই সঙ্গে বিশ্বের ১০০ টি ভাষায় এর অনুবাদ প্রকাশ করা প্রয়োজন।’
শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী কিভাবে উদযাপন করা হবে, এ বিষয়ে পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় যৌথভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে প্রবাসী বাঙালি সমাজকেও যুক্ত করা আবশ্যক।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ১৯৭১ সালে যেসব লেখা প্রকাশিত হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে এবং ৭১-এর গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে তা অসামান্য অবদান রেখেছে।’
শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এসব লেখা পুনঃপ্রকাশ এবং বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় অনুবাদের উদ্যোগ নেয়া হলে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নতুনভাবে জানতে পারবে স্বাধীনতার জন্য বাঙালি জাতির অসামান্য বীরত্ব ও আত্মদান সম্পর্কে, যা সেই সময় সমগ্র বিশ্বেও স্বীকৃতি ও শ্রদ্ধা অর্জন করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনেও এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে পারে, যেখানে অন্যান্য মন্ত্রণালয়কেও যুক্ত করা যেতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সাধারণ শিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা এবং ইংরেজি মাধ্যমের পাঠক্রমে প্রথম শ্রেণি থেকে স্œাতকোত্তর পর্যায়ে বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়।
এছাড়াও ৭১-এর গণহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তি ও সংগঠনের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করাসহ গণহত্যাকারীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয় করার প্রস্তাবিত আইন প্রণয়ন ও কার্যকর করার জন্য আইন মন্ত্রণালয় ও সরকারের নিকট জোর দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সহ-সভাপতি শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, কলামিস্ট মাহবুবুর রশিদ, ক্যাপ্টেন (অব.) শাহবুদ্দিন আহমেদ বীরোত্তম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/এএসজি/বিকেডি/১৬৫০/-জেজেড