বাসস ক্রীড়া-৭ : হ্যারি কেনের গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টারে স্পার্সরা

120

বাসস ক্রীড়া-৭
ফুটবল-চ্যাম্পিয়ন্স লীগ-টোটেনহ্যাম-ডর্টমুন্ড
হ্যারি কেনের গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টারে স্পার্সরা
ডর্টমুন্ড (জার্মানি), ৬ মার্চ ২০১৯ (বাসস/এএফপি): হ্যারি কেনের গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে টোটেনহ্যাম হটস্পার্স। মঙ্গলবার বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে অনুষ্ঠিত শেষ ষোলর ফিরতি লেগে স্পার্সদের হয়ে জয় সুচক একমাত্র গোলটি করেছেন ইংলিশ অধিনায়ক। ফলে দুই লেগে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ আটে জায়গা করে নেয় মাওরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা।
এর আগে ওয়েম্বলিতে প্রথম লেগে বুন্দেসলীগার শীর্ষ দলের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়লাভ করেছিল ইংলিশ ক্লাবটি। যে কারণে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে অংশ নেয়ার আগেই সোমবার পচেত্তিনো ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে ‘দায়িত্ব শেষ করার’ ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন।
তবে ডর্টমুন্ড স্পার্সদের বিদায় করতে প্রয়োজনীয় সব কিছুই করেছে। যে কারণে প্রথমার্ধের খেলাটি প্রায় একপেশে হয়ে উঠেছিল। দ্বিতীয়ার্ধেও শুরুতে কেনের গোলের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এমন অবস্থাই বিরাজ করেছে। ওই গোলের পর স্থিমিত হতে থাকে স্বাগতিক দলের প্রেরণাদায়ী পারফর্মেন্স।
খেলা শেষে কেন বলেন, ‘এই ধরনের ম্যাচ প্রায়ই বেশ কঠিন হয়। আপনি জানেন না আক্রমণ চালাবেন, নাকি নিজেদের রক্ষা করবেন।’ এ সময় স্পার্স গোল রক্ষক হুগো লরিসেরও প্রশংসা করেন তিনি। কারণ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপুর্ন আক্রমন রুখে দিয়েছেন স্পার্সের এই গোলরক্ষক।
কেন বলেন, ‘তারা বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল। প্রথমার্ধের ওই সময়টাতে আমাদের প্রয়োজন ছিল সবার সম্মিলিত প্রচেস্টা। ডিফেন্ডাররা প্রতিপক্ষকে বাঁধা দিয়েছে, হুগো গোল প্রতিহত করেছেন। বলতে গেলে এমনই হওয়া উচিত চ্যাম্পিয়ন্স লীগে।’
২০১০-১১ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৫-০ ব্যবধানে হারের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে স্পার্সরা।
জয়ের জন্য অন্তত তিন গোলের লক্ষ্যকে সামনে রেখে মারিও গোটশে, মার্কো রিউস ও প্যাকো আলকাসেরকে অন্তর্ভুক্ত করে শক্তিশালী আক্রমনভাগ নিয়ে একাদশ গঠন করেছিল স্বাগতিক ডর্টমুন্ড। চলতি মৌসুমের শুরু থেকে এ পর্যন্ত তারা সম্মিলিতভাবে গোল করেছেন ৩০টি। এই মৌসুমে প্রথমবারের মত এক ম্যাচের মূল একাদশে একত্রে মাঠে নেমেছিলেন এই তারকা ত্রয়।
প্রথমার্ধের মহড়ায় তারা এর প্রতিফলনও ঘটিয়েছেন। অন্তত ১০টি পরিকল্পিত আক্রমণ রচনা করেছে স্পার্স শিবিরে। লন্ডনের ক্লাবটির স্ট্রাইকার সন-হিউং মিনের একমাত্র প্রতিআক্রমনকেও এ সময় রুখে দিয়েছে স্বাগতিক দল। ওই অর্ধে ৭০ ভাগ সময় পর্যন্ত মাঠের নিয়ন্ত্রণ ছিল তাদের কাছে।
ডর্টমুন্ডের অধিনায়ক রিউস বলেন, ‘আমরা মানসম্পন্ন খেলা প্রদর্শন করেছি। প্রথমার্ধের পারফর্মেন্সে আমরা দক্ষতা দেখিয়েছি। কিন্তু আমাদের গোলের প্রয়োজন ছিল।’
প্রথম ২৫ মিনিটে জার্মানরা সবগুলো সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একেবারে নাজেহাল করেই ছেড়েছে স্পার্সদের। এ সময় দু’টি নিশ্চিত গোলের সুযোগও সৃষ্টি করেছিল তারা। আলকাসেরের শটটি বারের সামান্য উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরে রিউসের নেয়া শটটি রুখে দেন সফরকারী গোলরক্ষক লরিস।
ম্যাচের বয়স আধাঘন্টা পেরিয়ে যাবার পর প্রথমবারের মত সেরা সুযোগটি পেয়েছিল স্পার্সরা। এ সময় সন তাকে কড়া প্রহরায় রাখা মারিয়াস উলফকে ফাকি দিয়ে বলে শট নিলেও সেটি বারের বাইরে চলে যায়। এরপ গোটশের একটি শট বারের উপর দিয়ে চলে যাবার পর স্পার্স গোলরক্ষক লরিসকে প্রতিহত করতে হয়েছে আরো দু’টি আক্রমণ।
বিরতির পর শুরুতে পাওয়া প্রথম সুযোগটিই কাজে লাগাতে সক্ষম হয় সফরকারীরা। মধ্য মাঠ থেকে সতীর্থ মুসা সিরকোসের পাস থেকে বল পেয়ে বাঁকানো দূরপাল্লার শটে স্বাগতিক গোল রক্ষককে পরাস্ত করেন হ্যারি কেন (১-০)। শেষ পর্যন্ত ওই গোলটির সুবাদে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংলিশ জায়ান্টরা।
বাসস/এএফপি/এমএইচসি/১৬০৫/মোজা/স্বব