বাসস ক্রীড়া-৫ : বায়ার্ন ত্রিমুর্তি হামেলস, বোয়াটেং ও মুলারকে ছাড়াই জার্মান দল

120

বাসস ক্রীড়া-৫
ফুটবল-জার্মানী
বায়ার্ন ত্রিমুর্তি হামেলস, বোয়াটেং ও মুলারকে ছাড়াই জার্মান দল
বার্লিন, ৬ মার্চ ২০১৯ (বাসস) : জার্মান জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জোয়াকিম লো জানিয়েছেন ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী জেরমে বোয়াটেং, ম্যাটস হামেলস ও থমাস মুলার তার ভবিষ্যত পরিকল্পনায় আর জায়গা পাচ্ছেনা। এই ইঙ্গিতে জার্মান ফুটবল এখন আলোচনায় সরব হয়ে উঠেছে।
দুই সপ্তাহের মধ্যে সার্বিয়ার বিপক্ষে উল্ফসবার্গে একটি প্রীতি ম্যাচ ও নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে আমাস্টারডামে ইউরো ২০২০ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে জার্মানী। এই দুটি ম্যাচকে সামনে রেখে জাতীয় দল নিয়ে পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে বায়ার্ন মিউনিখের তিন তারকার কথা জানিয়েছেন লো।
এদিকে এই খবরে দারুন হতাশ বোয়াটেং ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এই খবর শুনে আমি দারুন হতাশ হয়েছি। কারন আমি সব সময়ই জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করাকে প্রাধান্য দিয়েছি। তবে কোচের এই সিদ্ধান্তকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। এক সময় আমি বয়সে তরুন ছিলাম। তখন আমার কাছে সবসময়ই মনে হতো সিনিয়ররা আমাদের জন্য জায়গা করে দিলেই আমরা সুযোগ পাব। তারপরও আশা করছি আমাদের বিদায়টা একটু ভিন্নভাবে হবে।’
এই তিনজনের মধ্যে হামেলস ও বোয়াটেংয়ের বয়স ৩০ ও মুলারের বয়স ২৯। এই তিনজন মিলে জার্মানীর হয়ে সর্বমোট ২৪৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ে এই তিনজনই দলের মধ্যমনি ছিলেন। রাশিয়া বিশ্বকাপে অবশ্য গ্রুপ পর্ব থেকে জার্মানীর বিদায় ছিল লো’র অধীনে জাতীয় দলের সবচেয়ে বাজে পারফরমেন্স। মূলত সে কারনেই তারকাদের ওপর থেকে কোচের বিশ্বাস অনেকটাই উঠে গেছে। এ সম্পর্কে লো বলেছেন, ‘২০১৯ সালটা জার্মান জাতীয় ফুটবলের জন্য নতুনভাবে ফিরে আসার বছর। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি নিজের পরিকল্পনা ব্যাখ্যা দেয়াটা জরুরী। এ সম্পর্কে বায়ার্নের ম্যানেজার ও খেলোয়াড়দের সাথে আমি নিজে কথা বলবো।’
ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য মিউনিখের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন লো। ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ের মাস্টারমাইন্ড ৫৯ বছর বয়সী লো অবশ্য দীর্ঘদিন জার্মানীর হয়ে সাফল্য ও অসাধারণ ফল উপহার দেবার জন্য ম্যাটস, জেরম ও থমাসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
লো’র এই সিদ্ধান্তের সাথে সাথে মুলারের বর্ণাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি ঘটতে যাচ্ছে। মাত্র ২০ বছর বয়সে ২০১০ বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়েই নিজেকে প্রমান করেছিলেন মুলার। জাতীয় দলের হয়ে ১০০ ম্যাচে করেছেন ৩৮ গোল। অন্যদিকে জার্মানীর সেন্টার-ব্যাক পজিশনে অনবদ্য জুটি হিসেবে নিজেদের প্রমান করেছেন হামেলস ও বোয়াটেং। এই দুজন মিলে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলেছেন যথাক্রমে ৭০ ও ৭৬টি ম্যাচ। ইতোমধ্যেই লো সেন্টার-ব্যাক পজিশনে হামেলস ও বোয়াটেংয়ের স্থানে বায়ার্নের নিকলাস সুয়েলে (২৩), চেলসির এন্টোনিও রুয়েডিগার (২৬) ও পিএসজি’র থিলো কেহরারকে (২২) বিবেচনা করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এই তিনজন ছাড়াও লো’র বিবেচনায় আসতে হলে আরো বেশ কিছু বড় তারকাদের বেশ চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়তে হবে। জার্মান অধিনায়ক ম্যানুয়েল নয়্যারকে (৩২) বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগানের (২৬) সাথে লড়াই করেই মূল দলে আসতে হবে। এ সম্পর্কে লো বলেছেন, ‘গত বছর আমি বলেছিলাম এই মুহূর্তে নয়্যারই আমাদের নাম্বার ওয়ান। কিন্তু এবার আমরা নতুনভাবে শুরু করতে চাচ্ছি। সে কারনেই এখানে মার্কেরও সুযোগ আছে।’
নতুনভাবে সাজানো ফরোয়ার্ড লাইন-আপ দিয়ে গত বছরের শেষের দিকে রাশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়ী ও নেদারল্যান্ডের সাথে ২-২ গোলে ড্র করেছিল জার্মানী। দুটি ম্যাচেই খেলেছেন ২২ বছর বয়সী টিমো ওয়ার্নার ২৩ বছর বয়সী বায়ার্ন মিউনিখের উইঙ্গার সার্জি গ্যানাব্রি ও ম্যানচেস্টার সিটির লেরয় সানে।
বাসস/নীহা/১৪৪০/স্বব