বন্যপ্রাণি সংরক্ষণের মধ্য দিয়েই পরিবেশের সুরক্ষা করতে হবে : শাহাব উদ্দিন

166

ঢাকা, ৩ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বন্যপ্রাণি সংরক্ষণের মধ্য দিয়েই পরিবেশের সুরক্ষা করতে হবে। সারাবিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ণ, বন্যপ্রাণি শিকার ও পাচার, বন্যপ্রাণির অবৈধ ব্যবসা, বন ও বনভূমি হ্রাস ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বন্যপ্রাণির সংখ্যা আশংকাজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের অজ্ঞতা ও অবহেলার কারণে গত কয়েক দশকের ব্যবধানে আমাদের দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে একশিঙা গন্ডার, বারশিঙা, প্যারাহরিণ, রাজশকুন, বাদিহাঁস, গোলাপীশির হাঁস, ময়ূর, মিঠাপানির কুমির ইত্যাদি।”
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বিশ্ব বন্যপ্রাণি দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আজ বন বিভাগের উদ্যোগে আগারগাঁও বন ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে জাতিসংঘ ৩ মার্চকে বিশ্ব বন্যপ্রাণি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারিত হয়েছে “মানুষ ও ধরিত্রীর প্রয়োজনে জলজ প্রাণি সংরক্ষণে এগিয়ে আসুন।” মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব বন্যপ্রাণি দিবসের মূল উদ্দেশ্য বিভিন্ন ধরণের বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিকরা। এই দিনটি বন্যপ্রাণি সংক্রান্ত অপরাধ দমনের জন্য আমাদের সকলকে অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং পরিবেশবাদী সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গকে উৎসাহ যোগাবে।
বাংলাদেশের বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বনবিভাগ সুন্দরবন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে ৩টি এবং পদ্মা নদীর নগরবাড়ী আরিচা এলাকায় ৩টিসহ মোট ৬টি ডলফিন প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে অভয়ারণ্য ঘোষণা করেছে। এছাড়া কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়া দ্বীপে সামুদ্রিক কাছিম ও পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণে বনবিভাগ কাজ করে যাচ্ছে বলেন মন্ত্রী।
প্রধান বন সংরক্ষক শফিউল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী।