বাসস দেশ-২৫ : রাজধানীতে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ২২ সদস্য গ্রেফতার

156

বাসস দেশ-২৫
প্রতারক-গ্রেফতার
রাজধানীতে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের ২২ সদস্য গ্রেফতার
ঢাকা, ২ মার্চ, ২০১৯ (বাসস) : রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ২২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটারিয়নের (র‌্যাব) একটি দল ।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আজ শনিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত র‌্যাব-৪ এর একটি দল নগরীর মিরপুর, দারুস সালাম, উত্তরা ও রামপুরা এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভুয়া নথিপত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
তারা হচ্ছে- ইমরান হাসান (২৭), হুমায়ুন কবির হালিম (৫৭), মো. রফিকুল ইসলাম (৪৯), আব্দুল বারী আব্দুল আউয়াল (৪০), শাহাদাত হোসেন (৩০), মো. মিনহাজ (৫৬), কামরুজ্জামান (৪৬), মো. হাবিবুর রহমান (৩৫), সঞ্জিত সাহা (৩৪), মেহেদি হাসান হাবিব (৩১), ইউসুফ (৫৩), মামুনুর রশীদ চৌধুরী (৩৪), মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান ওরফে আব্দুল জলিল (৫০), মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান (৩৫), মো. রফিকুল ইসলাম (৬৪) ও মো. মিজান (৩৫)।
আজ দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত র‌্যাব-৪ এর একটি দল রাজধানীর মিরপুর, দারুস সালাম, উত্তরা ও রামপুরা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের এই ২২ সদস্যকে গ্রেফতার করে। এই প্রতারকচক্রটি কৌশলে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবী এবং ব্যবসায়ীদের টার্গেট করতো। পরে তাদের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে শেয়ারহোল্ডার বানানোর লোভনীয় অফার দেওয়া হতো। তারা এই অফারে রাজি হলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যেতো চক্রটি।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, এভাবে প্রতারক চক্রটি গত ১৫ বছর ধরে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে আনুমানিক একশ’ কোটির বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, সুসজ্জিত অফিস ও দামি গাড়ি ভাড়া নিয়ে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির নামে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অফিস খুলতো চক্রটি। পরে টার্গেট করা লোকদের কৌশলে অফিসে এনে ভুয়া চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে নিতো। তাদের বলা হতো এই চুক্তির মাধ্যমে তাদের কোম্পানির উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরে কিছুদিন যাওয়ার পর তাদের কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার করার প্রস্তাব দেয় চক্রটি।
তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবে ভুক্তভোগীরা রাজি হলে তাদের কাছে মোটা অংকের টাকা চেয়ে নিতো চক্রের সদস্যরা। পরে নগদ অর্থ হাতে পাওয়ার পরপরই অফিসসহ উধাও হয়ে যেতো প্রতারকরা।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএমবি/১৮৪৪/এএএ