সাংবাদিক শাহ আলমগীরের দাফন সম্পন্ন

277

ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : অন্তিম শয়ানে শায়িত হলেন শাহ আলমগীর। বাদ আসর জানাজা শেষে আজ উত্তরা ১২ নং সেক্টর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক শাহ আলমগীর আজ সকাল ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে…রাজিউন)।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। একুশে ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তিনি স্ত্রী, একপুত্র, এক কন্যা আত্মীয়স্বজন এবং গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
সাংবাদিক শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পৃথক শোক প্রকাশ করেছেন।
পারিবারিকভাবে জানা গেছে, আজ দুপুরে প্রয়াতের মরদেহ তার পৈত্রিক বাড়ি গোড়ানে নেয়া হয়। পূর্ব গোড়ান মক্কা জামে মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর আড়াইটায় প্রয়াতের মরদেহ তার কর্মস্থল প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) নেয়া হয়। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারিরা প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বিকাল তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তার মরদেহ আনা হয় ।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তথ্য সচিব আবদুল মালেক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ সফিকুর রহমান এমপি, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিউনের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সূর্য, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খানসহ অন্যান্য সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ এসময় প্রয়াতের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
প্রেস ক্লাবে জানাজা এবং মুনাজাত শেষে বিকালে শাহ আলমগীর এর মরদেহ উত্তরা নিজ বাসভবন নেয়া হয়। বাদ আসর উত্তরা ১১নং সেক্টরে বায়তুল নূর মসজিদে জানাজা শেষে উত্তরা ১২ নং সেক্টর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে তিন দিনের জন্য একটি শোক বই খুলেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। আগামী রোববার পর্যন্ত এ শোক বই খোলা থাকবে। এ ছাড়াও আগামী সোমবার স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের এক সংবাদ বিঞ্জপ্তিতে বলা হয়েছে।
শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন। সরকার ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তার চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ায়।
উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর পত্রিকা সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগ দেয়ার মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। এখানে তিনি ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ-এ। তিনি প্রথম আলোর যুগ্ম বার্তা-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।