সাংবাদিক শাহ আলমগীরের ইন্তেকাল

444

ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক শাহ আলমগীর আজ সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…. রাজিউন)।
রাজধানীতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর ।
২১ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তিনি স্ত্রী, একপুত্র, এক কন্যা আতœীয়স্বজন এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সাংবাদিক শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী ড হাছান মাহমুদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পৃথক শোক প্রকাশ করেছেন।
পারিবারিক ভাবে জানা গেছে, প্রয়াতের মরদেহ দুপুরে তার পৈতৃক বাড়ি গোড়ানে নেয়া হবে। পূর্ব গোড়ান মক্কা জামে মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর আড়াইটায় প্রয়াতের মরদেহ তার কর্মস্থল পিআইবিতে নেয়া হবে। সেখানে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারিরা প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। বিকাল তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তার মরদেহ আনার কথা। এখানে তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী সাংবাদিকরা শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে তার জানাজা শেষে বিকাল ৪টায় উত্তরা নিজ বাসভবনে নেয়া হবে। বাদ আসর উত্তরা ১১নং সেকটরে বায়তুল নূর মসজিদে জানাজা শেষে উত্তরা ১২ নং সেক্টর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই পিআইবির মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন। সরকার ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তার চাকরির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ায়।
উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর পত্রিকা সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় যোগ দেয়ার মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। এখানে তিনি ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ-এ। তিনি প্রথম আলোর যুগ্ম বার্তা-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, ‘চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫’, ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ এবং ‘কুমিল্লা যুব সমিতি অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ পেয়েছেন।
শাহ আলমগীরের পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে হলেও বাবার চাকরি সূত্রে বৃহত্তরে ময়মনসিংহে জীবনের বড় একটি সময় কাটে তার। ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেন।