বাসস দেশ-২১ : মানব পাচার বন্ধে রাঘববোয়ালদের ধরতে হবে : কাজী রিয়াজুল হক

137

বাসস দেশ-২১
মানবাধিকার-সভা
মানব পাচার বন্ধে রাঘববোয়ালদের ধরতে হবে : কাজী রিয়াজুল হক
ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ (বাসস): জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বরেছেন, শুধু চুনোপুটিদের ধরে মানব পাচার বন্ধ করা সম্ভব নয়, দেশ-বিদেশে বসে থাকা রাঘববোয়ালদের ধরতে হবে।
মানব পাচার সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করতে ট্রাইবুনাল গঠনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আজ রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত মানব পাচার বিষয়ক এক পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং ব্র্যাকের যৌথ উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়।
কাজী রিয়াজুল হক বলেন, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা পরষ্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত। একটি ছাড়া অন্যটি হতে পারে না।
তিনি বলেন, অনেক সময় তথ্য না জানার কারণে মানুষ পাচারের শিকার হয়। অনেকে ভাষা জানে না। যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের যাওয়ার আগেই যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। বিমানবন্দরে দায়িত্বরত পুলিশকে আরও সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি পাচারের শিকার কাউকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশ প্রতিবেদন দেওয়ার কাজটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রয়োজনে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করতে হবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য মো. নজরুল ইসলাম সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, পাচারের মতো অপরাধ দমনে সরকারি বেসরকারি সংস্থা সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এক্ষেত্রে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক ও আইসিটি) আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, রোহিঙ্গাদের পাচার বন্ধসহ সীমান্ত ব্যবস্থাপনার দিকে সরকার নজর দিচ্ছে। মানবপাচারের মামলাগুলো দেখার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে এবং জেলায় জেলায় সমন্বয় কমিটি করার কথা ভাবা হচ্ছে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের জ্যেষ্ঠ পরিচালক আসিফ সালেহ, ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী, ব্র্যাকের পরিচালক কে এ এম মোর্শেদ, মানবাধিকার আইনজীবী সালমা আলী ও উইনরক ইন্টারন্যাশনালের চীফ অব পার্টি লিসবেথ জনিভেল্ড বক্তৃতা করেন।
মানব পাচার বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান।
প্রবন্ধে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িতরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। ২০১২ সালে মানব পাচার আইন হওয়ার পর থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত ৫ হাজার ৭১৬টি মামলা হলেও নিষ্পত্তির ঘটনা খুবই নগন্য।
সরকারি ও বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/এফএইচ/১৮৫০/জেহক