বাসস দেশ-১৮ : চামড়াখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এনপিও’কে গবেষণার নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পসচিব

175

বাসস দেশ-১৮
শিল্পসচিব-নির্দেশ
চামড়াখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এনপিও’কে গবেষণার নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পসচিব
ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : চামড়াখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে একটি কার্যকর গবেষণা করার নির্দেশনা দিয়েছেন শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম।
তিনি বলেন, বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে, বাংলাদেশের চামড়া শিল্পকে কমপ্লায়েন্ট হতে হবে। এ লক্ষ্যে চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, কর্মচারি, টেকনেশিয়ান ও উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।
শিল্পসচিব আজ বুধবার ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) আয়োজিত ‘ট্যানারি ও লেদার শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন কৌশল’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) পরিচালক এস এম আশরাফুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ বক্তব্য রাখেন।
শিল্পসচিব বলেন, বর্তমান সরকার উদীয়মান চামড়া শিল্পখাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে সাভার চামড়া শিল্পনগরির কেন্দ্রিয় বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণ করা হয়েছে। ট্যানারি শ্রমিকদের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতার অভাবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সমস্যা হচ্ছে।
ট্যানারি শ্রমিকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ শিল্পখাতে ব্যবহৃত কাঁচামালের অপচয় হ্রাস করে উৎপাদিত পণ্যের দাম কমানো সম্ভব হবে।
আবদুল হালিম বলেন, আধুনিক ব্যবস্থাপনায় বর্জ্যকে সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একজনের জন্য যেটা বর্জ্য, অন্যের কাছে সেটার অর্থনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। ট্যানারি শিল্প সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে শক্তিশালী লিংকেজ স্থাপনের মাধ্যমে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার উদ্যোগ নিতে হবে। এর মাধ্যমে জিডিপিতে চামড়া শিল্পখাতের অবদান ০.৫ শতাংশ থেকে ২০২৫ সাল নাগাদ ২.৫ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব হবে।
বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চলছে উল্লেখ করে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কমপ্লায়েন্ট অনুসরণের মাধ্যমে এ ধরণের অপচেষ্টা রুখে দেয়ার তাগিদ দেন।
বাসস/সবি/বিকেডি/১৮২৫/-আসচৌ