দেশের স্বনামধন্য ক্রিকেট কোচ আলতাফ হোসেন মারা গেছেন

250

ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : দেশের স্বনামধন্য ক্রিকেট কোচ সৈয়দ আলতাফ হোসেন মারা গেছেন। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন এক সময়ের মাঠ কাঁপানো এই ক্রিকেটার (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৯ সালে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পান আলতাফ।
বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার আগে ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট দলে ডাক পান আলতাফ। ঐ সময় পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ছিলেন হানিফ মোহাম্মদ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য ডাক পেলেও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। পাকিস্তানের ১৫ জনের দলে তাকে নিয়ে একাদশের বাইরে রাখে পাকিস্তান।
খেলোয়াড়ি জীবনে ডান-হাতি মিডিয়াম পেস বোলার ছিলেন আলতাফ। ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স, পিডব্লুডি, ইস্ট পাকিস্তান জিমখানা ও শান্তিনগরের হয়ে খেলেছেন তিনি। পঞ্চাশের দশক থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কায়েদে আজম ট্রফি ও আইয়ুব ট্রফিতে খেলেছেন আলতাফ ।
খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ১৯৭০ সালে আম্পায়ারিং পেশা গ্রহণ করেন আলতাফ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচও পরিচালনা করেছেন তিনি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭১ সালে কোচ হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে যোগ দেন আলতাফ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোচ হিসেবে ১৯৭৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কাজ করেন তিনি। ঐসময় বাংলাদেশ ক্রিকেটে নক্ষত্র ছিলেন তিনি।
তাঁর কোচিংয়েই ১৯৮৬ সালে শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। ১৯৯০ সালে ভারতের এশিয়া কাপেও তিনি বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন। অনেকেই জানেন না, বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের জন্ম তাঁর হাতে ধরেই। ১৯৯৭ সালে বিসিবি তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিল নারী ক্রিকেট দল গড়ে তোলার দায়িত্ব।
পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে জন্ম নিয়েছিলেন আলতাফ। তাঁর বাবা চাকরি করতেন ব্রিটিশ ইন্ডিয়া শিপিং কোম্পানিতে। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের সময় মায়ের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন আলতাফ।
দেশের স্বনামধন্য ক্রিকেট কোচের মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।