বাজিস-২ : জয়পুরহাটে ১১ হাজার কুকুরকে জলাতংক রোগের প্রতিষেধক টিকা দেয়া হবে

335

বাজিস-২
জয়পুরহাট-প্রতিষেধক টিকা
জয়পুরহাটে ১১ হাজার কুকুরকে জলাতংক রোগের প্রতিষেধক টিকা দেয়া হবে
জয়পুরহাট, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : জেলায় ১১ হাজার কুকুরকে জলাতংক রোগের প্রতিষেধক টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে ৫ দিনব্যাপী জলাতংক রোগ প্রতিষেধক টিকাদান কার্যক্রম।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে কুকুরের জলাতংক প্রতিষেধক টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রতিদিন পৌরসভায় ১০টি টিম এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ২টি করে টিম কাজ করবে। জাতীয় জলাতংক রোগ নির্মূল কর্মসূচি বাস্তবায়নে সম্প্রতি এক অবহিতকরণ সভা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রশিক্ষণ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। অবহিতকরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সরদার রাশেদ মোবারক।
জাতীয় জলাতংক নির্মূল কর্মসূচির আওতায় জয়পুরহাট জেলায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কুকুরের জলাতংক প্রতিষেধক টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রম শুরু হবে। কুকুরের জলাতংক প্রতিষেধক টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জলাতংক নির্মূল কর্মসূচির সুপারভাইজার আব্দুর সোহরাব কবীর ও ডা. ওয়াহিদুর রহমান। স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সাংবাদিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা অবহিতকরণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
একটি কুকুরকে জলাতংক প্রতিষেধক টিকাদানের পর রং দিয়ে অথবা গলায় ফিতা বেধে চিহ্নিত করা হবে যাতে ডবল না হয়। পর্যায়ক্রমে একেকটি কুকুরকে তিন বছরে তিন বার জলাতংক প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা হবে।
বর্তমান সরকার ২০২২ সালের মধ্যে প্রভুভক্ত প্রাণি কুকুর নিধন না করে টিকাদানের মাধ্যমে রক্ষা করে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণরূপে জলাতংক মুক্ত ঘোষণার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর যৌথভাবে জলাতংক রোগ নির্মূল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
বাসস/সংবাদদাতা/কেইউ/১১০০/নূসী