বাসস দেশ-১৮ : বিচার বিভাগকে তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হবে : আইনমন্ত্রী

113

বাসস দেশ-১৮
আইনমন্ত্রী- ই-ফাইলিং সেবা
বিচার বিভাগকে তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হবে : আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ ফেব্রুয়ারি (২০১৯) : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সারাদেশের বিচার বিভাগকে তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর অপরাধ ঠেকানো ও সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন সলিসিটর অনুবিভাগে ই-ফাইলিং সেবা কার্যাক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের লক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার বিভাগের আসল উদ্দেশ্য হলো বিচারপ্রার্থী জনগণের কাছে তড়িৎ বিচার পৌঁছে দেওয়া। আমরা যদি তা না পারি কিংবা সুষ্ঠু বিচার করতে না পারি তাহলে সেটা হবে বিচার বিভাগের ব্যর্থতা। এটি হলে জনগণ বিচার বিভাগের কাছে আসবে না এবং স্ট্রিট জাস্টিস প্রথা চালু হয়ে যাবে। যেটা জিয়াউর রহমান, এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার আমলে চালু হয়েছিল। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকা-ের ব্যাপারে একটি এফআইআরও তারা করতে দেননি।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ই-জুডিশিয়ারির একটা ধাপ ‘ই-ফাইলিং’ চালু হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় ধীরে ধীরে এই প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে। আইনের বিষয়গুলো সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে পারবো কি না, সেটা আগে আমাদের শিখতে হবে। আমাদের হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এগুচ্ছি।’
একমাসের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস ও সলিসিটর অফিস সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি। এর আগে আইনমন্ত্রী ই-ফাইলিং পদ্ধতি উদ্বোধন করেন।
আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সলিসিটর জেসমিন আরা, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে আজ সকালে সচিবালয়ে নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নরের ২৫ সেপ্টেম্বরকে ‘বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ডে’-এর ঘোষণাপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে শতভাগ সরকারি আইন কর্মকর্তা (পিপি অথবা জিপি) নিয়োগ করা হয় রাজনৈতিক কোটায়। সরকার প্রাথমিকভাবে ৩০ শতাংশ আইন কর্মকর্তা বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগের চিন্তাভাবনা করছে। বাকি ৭০ শতাংশ নিয়োগ করা হবে রাজনৈতিক কোটায়।’
তিনি বলেন, জিপি ও পিপিদের বেতন ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাবটি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় আছে। আশা করছি আগামী ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের ১ জুলাই থেকে তা কার্যকর হবে। এজন্য বাড়তি ২৬৭ কোটি টাকা লাগবে।
বাসস/সবি/এফএইচ/১৮২০/এমকে