বাজিস-৭
টাঙ্গাইল-যান-চলাচল
টাঙ্গাইলে সখীপুর-ভালুকা সড়কের বেইলি ব্রিজ ভেঙে যান চলাচল বন্ধ
টাঙ্গাইল, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : জেলার সখীপুর-ভালুকা উপজেলার সংযোগ সড়কের কীর্ত্তণখোলা-ধুমখালি এলাকার ব্রিজের কয়েকটি পাটাতন ভেঙে যাওয়ায় গত দুই মাস ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণ ও পরিবহন চালক-শ্রমিকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, ব্রিজের পাটাতন ভেঙে যওয়ায় অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও ভ্যানগাড়ীর মতো ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন ঝুঁকি নিয়ে চলাচলকারীরা। সব ধরণের ভারী যানবাহন বিকল্প রাস্তায় চলাচল করছে। এতে সময় ও অর্থ খরচ হচ্ছে বেশি। সখীপুর থেকে ময়মনসিংহ ও ঢাকায় যাতায়াতের জন্য এ সড়কটি ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলের মানুষ এ সড়কে বেশি চলাচল করে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, ভাঙা ব্রিজের পাশে কোন প্রকার বিপজ্জনক সংকেত বা লাল নিশানা না থাকায় যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। রাতে ভাঙা ব্রিজের আশপাশে বাতি বা আলোর ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই ব্রিজের ভাঙা পাটাতনের ভেতর পড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা মোশারফ হোসেন ও নাহিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মৌসুমী শাক-সবজিসহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি এ সড়কে পরিবহনে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন কৃষকরা। এ সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ, অসংখ্য যাত্রীবাহী ও মালবাহী গাড়ী চলাচল করে থাকে
চলাচলকারী ইজিবাইক চালক মোরশেদ আলম বলেন, এ রাস্তা দিয়ে লোকজন আনা নেয়া করে থাকি। বিকল্প রাস্তা না থাকায় পেটের দায়ে ঝুঁকি নিয়েই যাত্রী টানছি।
সখীপুর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ কুদ্দুছ বলেন, প্রতিবছরই ওই বেইলী ব্রিজের পাটাতন একবার করে ভেঙে পড়ে। প্রতিবছরই মেরামত করা হয়। ২৯ মিটারের ওই ব্রিজটি নতুনভাবে নির্মাণের জন্য এলজিইডি মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই নির্মাণ কাজ শুরু হবে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে প্রাথমিকভাবে সংস্কার কাজ করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাসস/সংবাদদাতা/১৬৫৫/মরপা