বাস দেশ-৬ : বিচার বিভাগ ই-জুডিশিয়ারির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে : আইনমন্ত্রী

140

বাস দেশ-৬
আইনমন্ত্রী-ই জুডিশিয়ারি-উদ্বোধন
বিচার বিভাগ ই-জুডিশিয়ারির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে : আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সমগ্র বাংলাদেশের বিচার বিভাগ পর্যায়ক্রমে ই-জুডিশিয়ারির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে।
সুপ্রিমকোর্টের সলিসিটর ভবনে ই-ফাইলিং সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি আজ এ কথা বলেন।
আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন-এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সলিসিটর জেসমিন আরাসহ প্রমুখ। ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের লক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির যেমন ব্যাপক প্রসার ঘটছে তেমনি এখনো অপরাধও হচ্ছে। এ অপরাধ মোকাবেলায় প্রয়োজন হয় কঠোর আইনের।
আনিসুল হক বলেন, প্রযুক্তির সঙ্গে আইনমন্ত্রণালয়, সলিসিটর আজ সংযুক্ত হলো। এই প্রযুক্তির সঙ্গে যদি আমরা সংযুক্ত না হতাম তাহলে কিন্তু পিছিয়ে থাকতাম। পিছিয়ে থাকলে বিচার প্রার্থীদের কাছে তরিৎ বিচার পৌঁছে দেয়া সম্ভব হতো না। সুষ্ঠ বিচার যদি আমরা পৌছে দিতে না পারি, তাহলে সেটা হবে বিচার বিভাগের ব্যর্থতা। আর এতে জনগণ বিচার বিভাগের কাছে আসবে না।
আইন মন্ত্রণালয় ও বিচার বিভাগের উপর ন্যায় বিচার নির্ভর করে উল্লে করে আইনমন্ত্রী বলেন, ই-জুডিশিয়ারির একটা ধাপ ‘ই-ফাইলিং’ চালু হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় খুব ধীর গতিতে এই প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে এই কারনে যে আইনের বিষয়গুলি সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে পারবো কিনা সেটা আগে আমাদের শিখতে হবে। আমাদের হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এগুচ্ছি।
তিনি বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের বিচার বিভাগ পর্যায়ক্রমে ই জুডিশিয়ারি সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে। তবে এই প্রযুক্তির কিছু বিড়ম্বনাও আছে। সেই কারনে আমাদেরকে সতর্কতার সঙ্গে এগুতে হবে। যেমন হ্যাকিং। এসব সাইবার ক্রাইম মোকাবেলা করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি করা হয়েছে।
আগামী এক মাসের মধ্যে এটর্নি জেনারেল অফিস ও সলিসিটর অফিস সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলেও আইনমন্ত্রী জানান।
এর আগে আইনমন্ত্রী ই-ফাইলিং পদ্ধতি উদ্বোধন করেন।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহারে অনেক কিছুই পাল্টে গেছে। বিচার বিভাগেও দুর্নীতি আছে এটা সাংবাদিকরা ও বিভিন্ন এনজিওরা বলে থাকেন। আমিও বলি। দুর্নীতির রোগ আছে এটা লুকিয়ে লাভ নেই। এই দুর্নীতির রোগ কিভাবে মুক্তি পাবে, সেই চেষ্টা করতে হবে। আজকে যে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে সেটা হলো এই রোগমুক্তির প্রাথমিক পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, এই প্রযুক্তির ফলে ফাইল লুকিয়ে রাখা, ফাইল গায়েব করার হাত থেকে আমরা হয়তো মুক্তি পাবো। আরেকটা জিনিস হলো জবাবদিহিতা। কার কাছে ফাইলটা গেল, কে কি কাজ করলেন, এটাও ভবিষ্যতে দেখা হবে। এই যে প্রযুক্তির যুগে আমরা প্রবেশ করেছি। এটা সম্ভব হয়েছে এই সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির জন্য।
এটর্নি জেনারেল বলেন, পর্যায়ক্রমে এটি এটর্নি জেনারেল অফিসসহ অন্যান্য জুডিশিয়াল অফিসেও চালু হবে। সব থেকে বড় কথা হলো প্রতারণা করে অনেকেই জামিন নিয়ে যায়। হাইকোর্টে জজ সাহেবরা স্বাক্ষর করেন নাই অথচ তার সার্টিফাইট কপি দেখিয়ে জামিন নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে যদি সবখানে ই ফাইলিং পদ্ধতি চালু হয়ে যায় তাহলে জালিয়াতি করতে পারবে না। এরফলে গণতান্ত্রিক হবে আমাদের বিচার বিভাগ। অনেক স্বচ্ছতা আসবে। এ সময় এটর্নি জেনারেল অফিসসহ সলিসিটর ভবনটি সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত আনার জন্য আইনমন্ত্রীকে বলেন মাহবুবে আলম। এরই প্রেক্ষিতে আগামী এক মাসের মধ্যে এটর্নি জেনারেল অফিসসহ সলিসিটর ভবনটি সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত আনার ঘোষণা দেন আইনমন্ত্রী।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৫০০/কেকে