বাজিস-৪ : চাঁদপুরের কচুয়ায় অসহায় ২১৬ পরিবার পাচ্ছে নতুন ঘর

164

বাজিস-৪
চাঁদপুর-নতুন ঘর
চাঁদপুরের কচুয়ায় অসহায় ২১৬ পরিবার পাচ্ছে নতুন ঘর
চাঁদপুর, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও দারিদ্র বিমোচনে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় “যার জমি আছে ঘর নেই,তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ” প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুরের কচুয়ায় ২১৬টি গরীব ও অসহায় পরিবারের মাঝে গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে।
২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রতি ওয়ার্ডে ২টি করে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যাদের ১ থেকে ১০ শতাংশ জমি আছে কিন্তু ঘর নেই বা ঘর থাকলে ও তা বসবাসের অনুপযোগী এমন পরিবারকে ঘর নির্মাণের জন্য প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ১ লাখ টাকা করে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকার বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
আর বর্তমানে এসব গৃহ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে এবং কোথাও কোথাও গৃহ নির্মাণ শেষে উপকার ভোগী পরিবারের সদস্যরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ওই গৃহে বসবাস করে আসছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৮নং কাদলা ইউনিয়নের মনপুরা গ্রামের উপকার ভোগী পরিবার ইউসুফ মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগম জানান, ‘আমার স্বামী একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী। তিনি কোনো কাজকর্ম করতে পারেন না। আমার দুটি সন্তান রয়েছে। তিনি এ গৃহ পেয়ে অনেক আনন্দিত বলে জানান। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানান।’
তার মতো আরো কয়েকজন জানান, ‘আমাদের আংশিক জমি থাকলেও গৃহ নির্মাণের সামর্থ্য ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহতি উদ্যোগে ও স্থানীয় সাংসদ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি’র প্রচেষ্টায় আমরা মাথা গোজার ঠাঁই পেয়েছি।’
কচুয়ায় “যার জমি আছে ঘর নেই,তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ” প্রকল্পের আওতার দায়িত্বপ্রাপ্ত গৃহ নির্মাণ ঠিকাদার ইউপি সদস্য মো: খাজা মিয়া জানান,‘দায়িত্ব পাওয়ার পর কোনো প্রকার ত্রুটি না রেখেই প্রতিটি গৃহ নির্মাণের চেষ্টা করেছি। অপর দিকে ভিটি পাকাকরণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার মো: বিল্লাল হোসেন জানান, প্রতিটি ঘর নিজের ঘরের মতো ভেবে আন্তরিকতার সাথে পাকাকরণ করেছি।’
পালাখাল মডেল ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন সোহাগ জানান,‘আমার ইউনিয়নে ১৮টি ঘর পেয়েছি। যারা পাওয়ার উপযুক্ত এমন ব্যক্তিদের সনাক্ত করে ঘর গুলো দেয়া হয়েছে।’ এ অসহায় পরিবার গুলো প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেয়ে খুব খুশি।
কচুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আশেকুর রহমান ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: মফিজ উদ্দিন মাসুদ বলেন,‘অন্য যে কোনো প্রকল্পের চেয়ে গরীবদের মাঝে গৃহ নির্মান বরাদ্দ সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। এ উদ্যোগের মাধ্যমে গরীব অসহায় পরিবারের লোকজন উপকৃত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ জানন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে কচুয়ায় ২১৬টি ঘর পেয়েছি। ইতিমধ্যে অধিকাংশ ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পথে। গত কয়েক দিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বেশ ক’টি ঘর সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। কোথাও কোনো অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করা যায়নি।’
তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় “যার জমি আছে ঘর নেই,তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ” প্রকল্পের আওতায় কচুয়ার জন্যে পরবর্তীতে আরো ঘর বরাদ্দের জন্য তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা অনুযায়ীই পর্যায়ক্রমে সকলেই ঘর বরাদ্দ পাবেন।
বাসস/সংবাদদাতা/কেইউ/১৩২৪/নূসী