টাইব্রেকারে চেলসিকে ৪-৩ গোলে পরাজিত করে ম্যান সিটির লিগ কাপের শিরোপা অক্ষুন্ন

399

লন্ডন, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : পেনাল্টি শ্যুট আউটে চেলসিকে ৪-৩ গোলে পরাজিত করে ইংলিশ লিগ কাপের শিরোপা অক্ষুন্ন রেখেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এই নিয়ে লিগ কাপের ষষ্ঠ শিরোপা জয় করলো সিটিজেনরা। ফাইনালে চেলসি বস মরিজিও সারি ও গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগার মতবিরোধ অনেককেই বিস্মিত করেছে।
নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়েও ম্যাচটি গোলশুণ্য ড্র থাকার পর ইতালিয়ান সারি বিশ্বের সবচেয়ে দামী গোলরক্ষককে টাইব্রেকারের আগে পরিশ্রান্তের বিষয়টি মাথায় রেখে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে কেপা ইনজুরির জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও গ্রহণ করেন। কিন্তু উইলি কাবালেরোকে সারি নামাতে চাইলেও স্পট কিকের অতীত অভিজ্ঞতায় নিজেকেই এখানে বেশী যোগ্য মনে করে সারির সিদ্ধান্তে অস্বীকৃতি জানান কেপা। সিটি গোলরক্ষক এডারসন জর্জিনহোকে রুখে দেন, ডেভিড লুইজের শট পোস্টে লাগে। তবে রাহিম স্টার্লিং কেপাকে পাশ কাটিয়ে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোলটি করতে ভুল করেননি।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে প্রিমিয়ার লিগে এই সিটির কাছে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত হবার দু:সহ স্মৃতি নিয়ে কাল মাঠে নেমেছিল সারির শিষ্যরা। ১৯৯১ সালের পর সবচেয়ে বড় পরাজয়ে স্বাভাবিক ভাবেই দল কিছুটা হলেও পিছিয়ে ছিল। কিন্তু তারপরেও পুরো ম্যাচে সিটিকে রুখে দেবার কৃতিত্ব চেলসিকে দিতেই হয়। গত সোমবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়ে এফএ কাপ থেকে বিদায় নিয়েছিল চেলসি। সেই ম্যাচের পরেই সারির বিদায়ের বিষয়টি সামনে চলে আসে। এই ভুলগুলো থেকেই শিক্ষা নিয়েই হয়তবা কালকের ম্যাচে সারির দলকে অনেক বেশী সতর্ক দেখা গেছে। গঞ্জালো হিগুয়েইন বদলী বেঞ্চে ছিলেন, তার পরিবর্তে এডেন হ্যাজার্ডকে একাই আক্রমভাগ সামলাতে দেখা গেছে। ডিসেম্বরে সিটির বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে এই বেলজিয়ানই মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।
সিটি বস পেপ গার্দিওলার কাজ সম্পর্কে প্রকাশ্যেই প্রশংসা করে থাকেন সারি। সম্প্রতী সিটির তুলনায় তার দলের ব্যর্থতার বিষয়টিও ঠান্ডা মাথায়ই মেনে নিয়েছেন সারি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে লিগ ম্যাচটিতে বিধ্বস্ত হবার পিছনে সার্জিও আগুয়েরোর হ্যাটট্রিক দায়ী ছিল। কিন্তু লিগ কাপের ফাইনালে গতকাল আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড প্রথমার্ধে কেবল একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক ভিনসেন্ট কোম্পানীর ইনজুরির কারনে সিটিজেনরা বেশ দু:শ্চিন্তায় ছিল। বিরতির পর কোম্পানীর স্থানে মাঠে নেমেছিলেন অমারিক লাপোর্তে। ম্যাচের ঘন্টাখানেক পর আগুয়েরোর একটি শট ভিএআর এর কারনে বাতিল হয়ে গেলে স্বস্তি ফিরে পায় চেলসি। তবে ম্যাচের শেষের দিকে উভয় দলের বেশ কয়েকটি আক্রমনে ম্যাচে বেশ উত্তেজনা ফিরে এসেছিল। ম্যাচ শেষের ২৪ মিনিটে আগে হ্যাজার্ডের ক্রস থেকে এন’গোলে কান্টে পোস্টে ঠিকমত শট নিতে পারেননি। রস বার্কলির কার্লিং শট অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। স্টপেজ টাইমেও হ্যাজার্ডের গোল অফসাইডের কারনে বাতিল হয়ে যায়।
অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে সিটি গোলমুখে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। সিজার আজপিলিকুয়েটা ও কেপার সমঝোতায় স্টার্লিংয়ের ক্রস থেকে আগুয়েরো গোল করতে পারেননি। ম্যাচ শেষের এক মিনিট আগে আগুয়েরো আরেকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন।