বাজিস-৪ : পিরোজপুরে নতুন করে ৫০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে

196

বাজিস-৪
পিরোজপুর-আশ্রয় কেন্দ্র
পিরোজপুরে নতুন করে ৫০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে
পিরোজপুর, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে নতুন করে আরও ৫০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলতি অর্থবছরেই শুরু হতে যাচ্ছে। স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টারে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রায় অর্ধ লক্ষ নারী পুরুষ শিশু আশ্রয় নিতে পারবে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে আলোর জন্য সোলার সিষ্টেম, খাবার পানির জন্য গভীর নলকূপ এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকছে। এছাড়া দুর্যোগ বিহীন সময় এসব ভবনে বিদ্যালয় পরিচালিত হবে। ৩ তলা কোনটি ৪ তলা এসব ভবনের নিচে দুর্যোগ চলাকালীন সময় স্থানীয়দের গবাদিপশু রাখার সুব্যাবস্থাও করা হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থয়নে এসব ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কাজ ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে শুরু হয়ে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সমাপ্ত হবে বলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুশান্ত রঞ্জন রায় বাসসকে জানান। জেলার সবচেয়ে দুর্যোগ প্রবণ উপজেলা বঙ্গোপসাগরের কাছাকছি অবস্থিত মঠবাড়িয়ায় সবচেয়ে বেশি ২২টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
এছাড়া জেলার অন্য ৬ উপজেলায়ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে এ পর্যন্ত এজেলায় প্রায় ৩ শত ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে ১শ’ ১০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ৬টি সুউচ্চ মাটির কেল্লা নির্মাণ করেছে। এছাড়া প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে যাবার সড়ক ও তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রতিটি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে গঠিত কমিটি এসব আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের স্থান চূড়ান্ত করে থাকে। মঠবাড়িয়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. বাচ্চু আকন জানান ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বরের সুপার সাইক্লোন সিডর এর তান্ডবে এজেলায় ৬ শতাধিক মানুষের করুন মৃত্যু এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছিল, ঘরবাড়ি, গাছপালা, মাঠের ফসল, গবাদিপশু সবকিছু মাত্র কয়েক ঘন্টার ঝড়ে ও জলোচ্ছ্বাসে শেষ হয়েছিল। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় সেসময় এ প্রাণহানী ঘটে। এখন বর্তমান সরকার পর্যাপ্ত সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করায় প্রাণ ও সম্পদ হানীর ঘটনা আর ঘটবেনা বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাসস/সংবাদদাতা/কেইউ/১৩০০/নূসী