বাসস দেশ-২৩ : ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিলেন : তোফায়েল আহমেদ

345

বাসস দেশ-২৩
তোফায়েল-বঙ্গবন্ধু-উপাধি
ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিলেন : তোফায়েল আহমেদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ (বাসস) : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিলেন।
তিনি আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধ’ু উপাধি প্রদানের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। টিএসসি কেন্দ্রিক বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর যৌবনের ১৩টি মূল্যবান বছর পাকিস্তানের কারাগারে কাটিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ফাঁসি দেওয়ার সমস্ত পরিকল্পনা করেছিলেন।
‘বঙ্গবন্ধ’ু উপাধি দেওয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে তিনি বলেন, ঊনসত্তরের ৪ জানুয়ারি ডাকসুর ভিপি হিসেবে আমার সভাপতিত্বে এবং সতীর্থ ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ‘কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করে ১১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করি।’
তিনি বলেন, এরপর ১৭ জানুয়ারি যে আন্দোলন আমরা শুরু করি, ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদের রক্তাক্ত জামা হাতে নিয়ে যে শপথ গ্রহণ করি, ২৪ জানুয়ারি মতিউর-মকবুল-রুস্তম-আলমগীরের রক্তের মধ্য দিয়ে সেই আন্দোলন সর্বব্যাপী গণঅভ্যূত্থান সৃষ্টি করে।
আওয়ামী লীগের প্রবীন এই নেতা পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ সম্পর্কে বলেন, ৯ ফেব্রুয়ারি ‘শপথ দিবসে’ পল্টন ময়দানে সভাপতির ভাষণ শেষে স্লোগান তুলি, ‘শপথ নিলাম শপথ নিলাম মুজিব তোমায় মুক্ত করব। ১৫ ফেব্রুয়ারি সার্জেন্ট জহুরুল হক এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি ড. শামসুজ্জোহা নিরাপত্তা বাহিনীর বুলেটে নির্মমভাবে নিহত হলে বাংলার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ২১ ফেব্রুয়ারি পল্টনের মহাসমুদ্রে আমরা শেখ মুজিবসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আটক সবার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে স্বৈরশাসকের উদ্দেশে আলটিমেটাম প্রদান করি।
তোফায়েল বলেন, জনরোষের ভয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব সরকার মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুসহ সব রাজবন্দীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষাধিক জনতার সামনে আমি তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করি।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ এই সহচর বলেন, দেখতে দেখতে অর্ধশত বছর পেরিয়ে গেল। প্রিয় নেতা তাঁর যৌবনের ১৩টি মূল্যবান বছর পাকিস্তানের কারাগারে কাটিয়েছেন। কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বসে যে নেতা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলার ছবি হৃদয় দিয়ে এঁকেছেন, ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন, সেই নেতাকে সেদিন জাতির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞচিত্তে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। দিনটি আমার জীবনে সবচেয়ে স¥রণীয় দিন, সমস্ত বাঙালির জীবনে স্মরণীয় দিন।
আসন্ন ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ২৮ বছর পর ডাকসু আবার নতুন নেতৃত্ব পাবে।’
সভায় ঢাবি ডিবেটিং ক্লাবেব সভাপতি এসএম রাকিব সিরাজীর সঞ্চালনায় টিএসসিভিত্তিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সংবাদদাতা/এমএএস/২০২০/কেএমকে