টেগোর’স আর্ট গ্যালারি পরিদর্শনে স্মৃতিকাতর রাষ্ট্রপতি

448

শিলং, ১০ মার্চ, ২০১৮ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এখানে ব্রুকসাইড বাংলো পরিদর্শন করেন। নোবেল জয়ী বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৯ সালে এখানে কিছুদিন অবস্থান করেছিলেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তিবাহিনীর সাব-সেক্টর কমান্ডার ও বর্তমানের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ৪৭ বছর পর গতকাল এখানে এসে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন।
রাষ্ট্রপতি বাংলোর ভেতরে প্রবেশ করে টেবিলে রাখা গীতাঞ্জলি থেকে বাংলায় কিছু কবিতা আবৃত্তি করেন।
সেখানে দেয়ালে হাতে লেখা মূল কবিতার চরণ ঝোলানো রয়েছে।
এরপর রাষ্ট্রপতি একঝলক কবির ব্যবহৃত বিছানা এবং গ্যালারি ঘুরে ঘুরে দেখেন। এই গ্যালারিতে আর্ট শিক্ষার্থীদের আঁকা পেইন্টিং রয়েছে।
এখানে অধ্যায়রনরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের একটি নির্বাচিত দল ব্রুকসাইড বাংলোতে আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
রবীন্দ্রনাথ বিভিন্ন সময় শিলং ভ্রমণ করেন। ১৯১৯ সালে শিলং ভ্রমণে এসে তিনি রিলবংয়ের ব্রুকসাইডে আসাম টাইপ বাংলোতে অবস্থান করেন। এটি পরে মেঘালয় আর্ট এন্ড কালচার বিভাগের অধীনে চলে যায়। ব্রুকসাইড ভবন অনেক পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর্ট গ্যালারিতে রূপান্তরিত হয়। যা এখনো মেঘালয় আর্ট এন্ড কালচার বিভাগের তত্ত্বাবধানেই রয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৯ সালের অক্টোবরে শিলং এসে এই ব্রুকসাইড বাংলোতে উঠেছিলেন। এটি বর্তমানে রবীন্দ্রনাথ আর্ট গ্যালারি, যা বর্তমানে মেঘালয় সরকারের শিল্প ও সাহিত্যের প্রাণকেন্দ্র।
কবিগুরু এখানেই তাঁর বিখ্যাত ধ্রুপদী উপন্যাস শেষের কবিতা লেখেন।
এ সময়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাঁর সহধর্মিনী রাশিদা খানম, সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ছিলেন।